ইলিশের সঙ্গে ফরিদপুরে পদ্মায় ধরা পড়ছে পাঙাশ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর হাজিগঞ্জের বিভিন্ন মাছ বাজারে ইলিশের পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে প্রচুর পাঙাশ। ডালায় ডালায় ইলিশের সঙ্গে সাজিয়ে রাখা পাঙাশও বিক্রি হচ্ছে এসব বাজারে। জেলেরা বলছেন, দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইলিশের পাশাপাশি পাঙ্গাসও ধরা পড়ছে জালে।
গত ২৯ অক্টোবর মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন নিষেধাজ্ঞার পর ফরিদপুর চরভদ্রাসনের চরহাজিগঞ্জ বাজারে মাছ কেনা-বেচার ধুম পড়েছে। সরেজমিনে এসব বাজারে দেখা যায়, মাছের ডালায় শোভা পাচ্ছে নানা আকৃতির রুপালি ইলিশ। প্রতিটি এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়। এক কেজির ছোট নানা আকৃতির মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায়।
এদিকে ইলিশ শিকারিদের জালে প্রচুর পরিমাণে পাঙাশও ধরা পড়ছে। বাজারে ইলিশ মাছের সঙ্গে ডালায় ডালায় শোভা পাচ্ছে পাঙ্গাস মাছ। বাজারে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, ২২ দিন পর এখন নিষেধাজ্ঞা না থাকায় মাছ ধরা শুরু করেছি। নদীতে ইলিশের পাশাপাশি পাঙাশও ধরা পড়ছে অনেক।
চর হাজীগঞ্জ বাজারের হাট ইজারাদার আলী প্রমানিক বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার পর মাছ বাজারে চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। প্রতিদিন প্রচুর ইলিশ আসায় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা মাছ কিনতে হাটে আসছেন। বাজারে বেশি ইলিশ আসায় সব মাছের দাম অনেকটা কম। ইলিশের পাশাপাশি পাঙাশ মাছ বেশি থাকায় আমাদের ব্যবসা অনেকটা ভালোর দিকে।’
ফরিদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, ‘বাজারে যেসব ইলিশ রয়েছে এর ভেতর অনেক ইলিশের পেটে ডিম দেখা যাচ্ছে। তবে মাছ ধরার সময় নির্ধারণ করে ইলিশ গবেষণা সেল। তারা সর্বোচ্চ গবেষণা করে সময় নির্ধারণ করেন। ইলিশের প্রজনন মওসুম এখন। এই সময় ডিম থাকতে পারে কিছু মাছে। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, পানির পরিবেশ, ভৌগোলিক পরিবেশ পরিবর্তন হচ্ছে। ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় নদীতে ইলিশের সঙ্গে ধরা পড়ছে প্রচুর পাঙাশ।’