কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের সঙ্গে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলের দিকে উখিয়ার ১৮ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় এক মহিলা ও এক আরসা কমান্ডার নিহত হয়েছেন। পরে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ এক আরসা সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মিডিয়া মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সহকারী পুলিশ সুপার জানান, ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১৭ নম্বর এল ব্লকে মসজিদের পাশে পাহাড়ি ঢালুতে আরসা সন্ত্রাসী লালুর নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসীর অবস্থানের খবর পেয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলে এপিবিএন সদস্য। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে আরসার সন্ত্রাসীরা। তাদের গুলিতে নুর হাবা নামে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হন। তিনি ওই ক্যাম্পের নুরুল ইসলামের স্ত্রী। পরে পুলিশ সাধারণ রোহিঙ্গাদের ও নিজেদের জীবন বাঁচাতে সন্ত্রাসীদের উপর পাল্টা গুলি ছুড়ে। সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে দিগ্বিদিক দৌড়ে পালাতে থাকে। তখন পালানোর সময় আরসা সন্ত্রাসী সাদেককে একটি অস্ত্রসহ আটক করা হয়। পরবর্তী সময়ে সন্ত্রাসীরা চলে গেলে ঘটনাস্থলে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসিমের গুলিবিদ্ধ মৃরদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছে।

নিহত আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসিম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড, মাদক ব্যবসা, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ।