উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, গ্রেপ্তার ৪
কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সঙ্গে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের গোলাগুলি হয়েছে। পরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান পরিচালনা করে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল গুলি, ওয়াকিটকি ও দুই নারীসহ চার আরসা সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন এপিবিএন সদস্যরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে এবং আজ শুক্রবার সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ এপিবিএনের আওতাধীন ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আজ সকাল সাড়ে ১১টায় উখিয়া ১৪ এপিবিএন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন এপিবিএনের ডিআইজি মো. জামিল হাসান। এ সময় ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো হারুন অর রশিদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মো. জামিল হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ছমিউদ্দিনসহ ১০ থেকে ১৫ সন্ত্রাসী ক্যাম্প-৭ এর ব্লক-জি এলাকায় অবস্থানের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এপিবিএন সদস্যরা অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ পাল্টা গুলি করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় এবং এরমধ্যে এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানা যায়। পরবর্তী সময়ে একই ঘটনার সূত্র ধরে আজ সকালে ক্যাম্প-৫, ব্লক-সি এর একটি ঘরে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ছমিউদ্দিন তার দলবলসহ অবস্থানের খবরে পূনরায় অভিযান চালালে ছমিউদ্দিনসহ অন্যা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ সময় তার সহযোগী নারীসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ঘটনাস্থল তল্লাশি করে দেশীয় তৈরি চারটি ওয়ানশুটারগান, ৩০টি চায়না রাইফেলের গুলি, ২৭টি পিস্তলের গুলি, পাঁচটি শটগানের কার্তুজ, তিনটি খালি ম্যাগাজিন, চারটি ওয়াকিটকি, পাঁচটি মোবাইল ফোনসেট ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা চার জনই আরসার সদস্য বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।