কর্মস্থলে ফিরতে বরিশাল নদীবন্দরে ভিড়
কর্মস্থলে ফিরতে বরিশাল নদীবন্দরে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের বিলাসবহুল লঞ্চগুলোর ডেক পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে কেবিনের যাত্রীরাও লঞ্চে আসতে শুরু করে।
গতকাল বুধবার বরিশাল নদীবন্দরে তেমন ভিড় না থাকলেও বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই ভিড় ছিল বন্দরে। সকালে অ্যাডভেঞ্চার-৬ লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এরপর দুপুরে গ্রীনলাইন ৩ ও রাজারহাট সি লঞ্চ কর্মস্থলমুখী মানুষদের নিয়ে রওনা হয় ঢাকায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায়, নয়টি লঞ্চ নোঙর করা রয়েছে রাতে বরিশাল নদীবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাওয়ার জন্য। প্রতিটি লঞ্চেই যাত্রী ছিল ভরা। ঈদের ছুটি শেষ হতেই রাজধানীতে ফিরছেন এসব মানুষ।
পারাবাত ১০, পারাবাত ১২, সুন্দরবন ১১, কুয়াকাটা ২, কীর্তণখোলা ১০, সুরভী ৭, অ্যাডভেঞ্চার ১, প্রিন্স আওলাদ ১০ ও মানামী লঞ্চ ঘুরে তৃতীয় শ্রেণি অর্থাৎ ডেকে ভরতি যাত্রী দেখা গেছে।
বেসরকারি একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে কর্মরত সজীব রহমান বলেন, শনিবারই অফিস খুলবে। শুক্রবার ঢাকার বাসায় ফিরে একটু রেস্ট নেব। তাই আজকেই যাচ্ছি। ভিড় রয়েছে মোটামুটি লঞ্চে।
আকিবুর রহমান নামে আরেক যাত্রী বলেন, পরিবার নিয়ে ঈদ করতে নিজ বাড়ি উজিরপুর এসেছিলাম। ঈদ পালন করে তাড়াতাড়ি ঢাকা ফিরতে চাই। কেননা দিন যত বাড়বে যানবাহনের চাপ তত বাড়বে। তাই ঈদের তৃতীয় দিন হলেও নিরিবিলি ঢাকায় যাওয়ার জন্য লঞ্চে উঠেছি পরিবার পরিজন নিয়ে। এসেতো ডেক ভরা পেয়েছি। এখন তিনতলার একটি কেবিনের সামনে বসেছি।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী যাতে কোনো লঞ্চ বহন করতে না পারে, সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। আমরা নদীবন্দরে বার বার টহল দিচ্ছি। যাত্রীদেরও সতর্ক করা হচ্ছে।
এদিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। ঢাকা-বরিশাল রুটের বাসগুলোতে টিকেট না পেয়ে বেশিরভাগ মানুষ বিকল্প উপায়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, বাস টার্মিনাল ও নদীবন্দর এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।