ক্ষুব্ধ হয়ে মঞ্চ ছাড়লেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪ নেতা
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ সম্মেলন যেন বিশৃঙ্খলার মহাযজ্ঞে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রীয় দুই নেতার সম্মেলনে দেরিতে উপস্থিত হওয়া, বিশেষ অতিথি, বিশেষ বক্তা কেউ বক্তব্য না দেওয়াসহ ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের চার নেতার ক্ষুব্ধ হয়ে মঞ্চ ছাড়া ছিল চোখে পড়ার মতো।
জানা গেছে, ঢাকা মহানগরের এই সম্মেলন সকাল ১০টায় উদ্বোধনের কথা থাকলেও এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়। দীর্ঘ এক ঘণ্টায় মহানগরের বিদায়ী কমিটির চার নেতা বক্তব্য দেন। এসময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক বক্তব্যের জন্য মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরে নাম ঘোষণা করেন। কিন্তু শুক্রবার হওয়ায় জুমার নামাজের কারণে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেন। এ সময় ব্ক্তব্য দিতে না পেরে ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের চার নেতা মঞ্চ ত্যাগ করেন।
এ ছাড়া বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাননি আমন্ত্রিত অতিথি আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
সম্মেলনের প্রধান বক্তা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যও বক্তব্য দিতে পারেননি।
এসময় বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী বিশৃঙ্খলা করে না। সব নেতা হয়ে গেছে। কতজন নেতা? আজকে নানকের মতো, আপনাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, সাবেক মন্ত্রী, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান সময়ের অভাবে বক্তৃতা দিতে পারল না। আপনারা মাইক ধরলে ছাড়েন না। পরে কে বলবে খেয়াল থাকে না। আজকে জুমার দিন খেয়াল থাকে না। এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না। সুশৃঙ্খল করুন। সুসংগঠিত করুন। কথা শুনবে না, এই ছাত্রলীগ আমাদের দরকার নেই। অপকর্ম করবে এই ছাত্রলীগ চাই না। দুর্নামের ধারা থেকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।’
কাদের বলেন, ‘এটা কি ছাত্রলীগ? কোনো শৃঙ্খলা নেই। জয়-লেখক এটা কী ছাত্রলীগ। পোস্টার নামাতে বললাম, তারা নামায় না। এরা কারা, আমি খোঁজ নিচ্ছি। এতো নেতা স্টেজে, তাহলে কর্মী কোথায়?’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ এই ছাত্রলীগ না। মুজিব কোর্ট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে।’