খুলনা রায়েলমহল থেকে তিন দিন আগে নিখোঁজ আমির হোসেনের (৬৫) লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে  দাফনের চেষ্টা। পরে পরিবারের সদস্যদের বাধার মুখে লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এনে রাখা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

পরিবারের সদস্যদের দাবি আমির হোসেনকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত আমির হোসেনের ছোট ভাই ইকরাম হোসেন জানান, তার বড় ভাই ২৩ নভেম্বর হঠাৎ করেই নিখোঁজ হন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে ২৪ তারিখেই নগরীর হরিণটানা থানায় নিখোঁজ জানিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।  কিন্তু পুলিশ কোনো সন্ধান করতে পারেনি।

আজ সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে নৌপুলিশ সদস্যরা হাত-পা বাঁধা অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ গোয়ালখালী কবরস্থানে দাফন করতে নিয়ে গেছে। সেখানে পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে লাশ দাফনে বাধা দিয়ে মৃতদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরিবারের অভিযোগ, তাকে অপহরণ করে হত্যা এবং গোসল বা ধর্মীয় বিধান না মেনেই বেওয়ারিশ দেখিয়ে লাশ দাফন করা হচ্ছিল।

নিহত আমির হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পিএ (সিভিল) হিসেবে কর্মরত। এলাকার জমি-জমা দখল করতে এই হত্যাকাণ্ড বলে পরিবারের সদস্যদের অভিমত।

নৌপুলিশ জানায়, তারা আজ বটিয়াঘাটা নারায়ণখালী খাল হতে এই লাশ উদ্ধার করে। তখন তার দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নৌপুলিশের পক্ষ থেকে বটিয়াঘাটা থানায় অপমৃত্যুর জিডি করা হয়েছে।