খুলনায় বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে
খুলনার সাথে ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটের বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাসসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে এই বিভাগে আসা-যাওয়া যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
আজ শুক্রবার সকালে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, বাক্সপেটরা নিয়ে যাত্রীরা আসছে। কিন্তু কেউ যেতে পারছে না। যাত্রীরা যে খোঁজ নিবে তাও পারছে না। কারণ সকল পরিবহণ ও আন্তজেলা বাস কাউন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। যাত্রীরা জানতেই পারছে না, কী কারণে এই ধর্মঘট।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় খুলনার বসুপাড়া যে বাড়িতে অবস্থান করছেন, সেখানে গতকাল রাত নয়টা পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৬ জনকে আটক করেছে। অপরদিকে মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, গতকাল বিকেল হতে আজ সকাল পর্যন্ত শতাধিক নেতার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অন্তত ৫০ জন আটক করেছে।
উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি অফিসে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে ব্রিফিং করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এদিকে গতকাল রাতে মহানগর যুবলীগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় দেশব্যাপী রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিএনপির সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল করবে খুলনা মহানগর যুবলীগ।
শুক্রবার দুপুর তিনটায় দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা মহানগর যুবলীগ। মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ এর সভাপতিত্বে ও নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন এর পরিচালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নগর যুবলীগ নেতা এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, রোজী ইসলাম নদী, আব্দুল কাদের শেখ, আবুল হোসেন, মোহাম্মদ আলী, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, কবির পাঠান, মোস্তফা শিকদার, ইব্রাহিম মার্সাল।
এদিকে বিএনপি তাদের বিভাগীয় গণসমাবেশের মঞ্চ নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি। ডাকবাংলা সংলগ্ন সোনালী ব্যাংক চত্বরে তাদের গণসমাবেশের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এলাকাটি নগীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা হিসাবে পরিচিত।