গফরগাঁওয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪ কর্মীর ওপর হামলা
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ছাত্রলীগ ও যুবলীগের চার কর্মীকে দিনের বেলায় মারধর, কুপিয়ে আহত এবং কয়েকজনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত একজনের অবস্থা গুরুতর। একজন কলেজ শিক্ষকের বাসায় তালা লাগানো হয়েছে। তারা কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন কেউবা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ঘটনার শিকার যারা তাদের ওপর কারা হামলা করেছে তা নিয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। বেশ কয়েকদিন ধরেই এসব ঘটনা ঘটছে। পুলিশ বলছে, আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।
ঈদের দিন নামাজ শেষে বাইকে চড়ে ও হেঁটে এসে একটি বিশেষ বাহিনীর নেতৃত্বে শুরু হয় এই কোপানো ও ভাঙচুরের ঘটনা। সেই বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে চারভাগে বিভক্ত হয়ে গফরগাঁও পৌরসভার চারটি ওয়ার্ডে বিভিন্ন বাসায় হামলা ভাঙচুর ও কোপানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। এনটিভির হাতে আসা সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও তাদের সশস্ত্র অবস্থায় বাসা বাড়িতে প্রবেশের চিত্র দেখা গেছে। তবে তারা কারা এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলছে না। ঈদের দিন, পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের যুবলীগকর্মী নয়ন মিয়ার ওপর হামলা হয়। এতে নয়ন মিয়া গুরুতর আহত হন। এরপর গফরগাঁও মধ্যবাজারে যুবলীগের কর্মী ইমরানের ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এতে তার এক হাঁটুতে মারাত্মক জখমে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে পথচারী ও তার স্বজনরা গুরুতর আহত ইমরানকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। যুবলীগকর্মী হৃদয়কেও কুপিয়ে আহত করা হয়। একই সময়ে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগকর্মী মফিদুল ইসলাম টিপুর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার রাতে শিলাসি এলাকায় গফরগাঁও কলেজের প্রফেসর আনোয়ার হোসেনের বাসায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রফেসর আনোয়ার হোসেন পৌরসভার মেয়রের শ্বশুর হন। এ ছাড়া হামলার শিকার সবাই পৌর মেয়র এস এম ইকবাল হোসেন সুমনের সমর্থক বলে পরিচিত। তবে এ বিষয়ে মেয়রকে একাধিকবার কল করা হয়েছে। ভয়েস মেসেজ ও টেক্সট মেসেজ করার পরেও তিনি সাড়া দেননি। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম আজ রোববার (২৩ এপ্রিল) সকালে বলেন, ‘ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে কারা করেছে জানতে পারিনি।’
এ ব্যাপারে আজ রোববার সকালে গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদ বলেন, ‘গতকাল বেলা ১১টার পরে ৯৯৯ নম্বর থেকে কল পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। কিন্তু আহত বা অভিযোগকারী কাউকেই পাইনি। তবে কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এবিষয়ে গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদুর রহমান বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। ঘটনা শুনেছি। পরবর্তীতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর রেখে পুলিশের ওসিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’