ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’: আতঙ্কে সাতক্ষীরাবাসী, প্রস্তুত প্রশাসন
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র সম্ভাব্য আঘাতের খবরে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ২০০৯ সালের আইলা, ২০১৮ সালের ফনি, ২০১৯ সালের বুলবুল এবং ২০২০ ও ২০২১ সালে ভয়াবহ আম্পান ও ইয়াশের দাপটের কথা ভেবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছে। তাই ‘অশনি’র সম্ভাব্য আঘাত মোকাবিলায় এরই মধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু হয়েছে।
আজ রোববার শ্যামনগর উপজেলা পরিষদে আয়োজিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় জানানো হয়, ছয়টি ইউনিয়নের ৩৩টি পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৮ কিলোমিটার বাঁধ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গাবুরা, পদ্মপুকুর, আটুলিয়া, রমজাননগর, মুন্সীগঞ্জ এবং কৈখালী ইউনিয়নের এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ, বাঁশের বল্লি এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রস্তুত রেখেছে। এ ছাড়া দুর্যোগ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় শ্রমিক জনবলকে ঝুড়ি-কোদাল নিয়ে প্রস্তুত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলনের সভাপতিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এই সভায় বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার, আক্তার হোসেনসহ সরকারি কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানরা।
সভায় বলা হয়, উপজেলায় ১০৩টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ৭৮টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সোলার প্যানেলগুলো কার্যকর করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, গর্ভবতী মা ও শিশুদের সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসার জন্য বেসরকারি সংস্থা সিপিডি, সিডিও এবং সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছেন। পর্যাপ্ত সংখ্যক নৌযানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার, চাল, সুপেয় পানি ও ওষুধপত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
যথাসময়ে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করা হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনা হবে।