ঝিনাইদহ পৌরসভায় প্রথম লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচন
ঝিনাইদহ পৌরসভায় প্রথম বারের মতো লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে। আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় পৌর অডিটরিয়ামে ডিজিটাল প্লাটফর্মে এ লাটারি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় গণ্যমান্য ব্যক্তি, গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ ঠিকাদাররা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পৌর এলাকার রাস্তাঘাট, ড্রেন-কালভার্ট এবং কবরস্থানের প্রাচীর নির্মাণের জন চলতি মাসে ৩৫ গ্রুপ টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে চার কোটি ছিয়াত্তর লাখ টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন (এডিবি) খাত থেকে মিলবে এক কোটি দুই লাখ এবং বাকি অর্থ পৌরসভার নিজস্ব আয় থেকে খরচ করা হবে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দরপত্র দাখিলের শেষ সময়ে দুই হাজার ৭০০ সিডিউল বিক্রি হয়ে। এ থেকে সরকারের আয় হয়েছে ২৭ লাখ টাকার বেশি। যা এই পৌরসভার সর্বকালের রেকর্ড।
লটারি অনুষ্ঠানের আগে পৌরসভার মেয়র মো. কাইয়ুম শাহারিয়ার জাহিদী হিজল সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘১৪ জন ঠিকাদারের স্থলে বর্তমানে ২২২ জন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতা নিশ্চিত করতে লটারি করা হয়েছে।’
মেয়র আরও বলেন, ‘গত বছরের ৩ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণের সময় মাত্র ৭৩ লাখ টাকার তহবিল পেয়ে ছিলাম। এখন তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজস্ব খাত থেকে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১২ জন (সংরক্ষিত মহিলাসহ) কাউন্সিলরকে উন্নয়নকাজের জন্য ২৫ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় সরকারের কাছে পাঠানো ১৪০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ বছরের পুরনো পানির পাইপ লাইন সংস্কারের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ৯০ কোটি টাকার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কোভিড ফান্ড থেকে ১২ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।’
এ সময় ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই ঝিনাইদহ পৌরসভাকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র।
এ সময় প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম মধু, আঞ্জুয়ারা, নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দিনসহ পৌরসভার কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।