ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তল্লাশি, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-দোহার ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গণপরিবহণে বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে পুলিশের তল্লাশি। এতে আজ বৃহস্পতিবার গণপরিবহণ চলাচল অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে যাত্রী ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
পুলিশের তথ্য মতে, এসব মহাসড়কে অন্তত ৩০টি পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার সামনে, শিমুলিয়া ও মাওয়া চৌরাস্তায় দিনভর বাস ও প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছে যাত্রী সাধারণ। একসঙ্গে চার-পাঁচজন দেখলেই পুলিশের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের।
জেলার শ্রীনগর উপজেলার ঢাকা-দোহার বাইপাস সড়কে, ছনবাড়ি ও বেঁজগাঁও পয়েন্টে পুলিশের চেক পোস্ট চোখে পড়ে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জেলার গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড, বাউশিয়া, বালুয়াকান্দি, জামালদী বাসস্ট্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এসব মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কমেছে।
এ ছাড়া জেলা শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় লঞ্চ টার্মিনালেও পুলিশের চেকপোস্ট দেখা গেছে।
এসব চেকপোস্টে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মুখ পড়েন যাত্রী সাধারণ। আবার যানবাহন চলাচল কম থাকায় যাত্রী সাধারণকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অনেক যাত্রীকে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটে যেতে দেখা গেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে জেলার ৩০টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেকপোস্টগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৯০০ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। তবে চেকপোস্টগুলোতে কাউকে আটক করা হয়নি।
জেলার লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার সামনে যাত্রী আরমান মিয়া বলেন, ‘বাস চলাচল কম থাকায় হেঁটেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। আমার মতো অনেক যাত্রীর কপালে বাস জোটেনি।’
জেলার গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাত্রী আবু জাফর বলেন, ‘গণপরিবহণ সংকটের কারণে ঘণ্টাখানেক বসে আছি। বাসের দেখা নেই। স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলাম আত্মীয়র বাসায়। এখন মনে হচ্ছে বাড়িতেই ফিরে যেতে হবে।’