তেল বিক্রি করে ২৩৩ কোটি টাকা লোকসান, দাবি বিপিসির
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে তেল বিক্রি করে ২৩৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এর মধ্যে কেবল নভেম্বর মাসেই লোকসান হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা। ফলে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আজ মঙ্গলবার এসব তথ্য জানান বিপিসি চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ।
তেলের দাম কমবে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে আমাদের লোকসান হয়েছে ২৩৩ কোটি টাকা। পরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে ১০৩ ডলার থাকলে আমারা ব্রেক ইভেনে থাকি। কিন্তু এর বেশি হলেই আমাদের লোকসান হয়।
গত নভেম্বর মাসে গড়ে ব্যারেল প্রতি পরিশোধিত ডিজেলের দাম ১০৫ ডলার ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনও আমাদের প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রিতে ২ থেকে ৩ টাকা লোকসান হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার। সেই সময়ে ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
এর আগে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়। সে সময় এই দুই জ্বালানির দাম লিটার প্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়।