আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ল তেলের দাম, সরবরাহে ঝুঁকি

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ১ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভেনেজুয়েলা থেকে শেভরন করপোরেশনের অপরিশোধিত তেল রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও কানাডায় উৎপাদন বন্ধ থাকায় সরবরাহে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এর পাশাপাশি ওপেক (তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা) এবং এর মিত্র দেশগুলোর সম্ভাব্য উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা বাজারের গতিপ্রবাহে প্রভাব ফেলেছে। খবর রয়টার্সের।
আজ বুধবার (২৮ মে) বাংলাদেশের সময় সন্ধ্যা ৭টায় লন্ডনের বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের (অপরিশোধিত) দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৬৪ দশমিক ৬৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে, নিউইয়র্কের বাজারে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ৬৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৬১ দশমিক ৪৫ ডলার হয়েছে।
সরবরাহ ঝুঁকি : ভেনেজুয়েলা ও কানাডা
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি একটি নতুন অনুমোদন জারি করেছে, যার ফলে শেভরন ভেনেজুয়েলায় তাদের কার্যক্রম বজায় রাখতে পারলেও তেল রপ্তানি বা নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারবে না। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত শেভরনের তেল সরবরাহে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। একইসঙ্গে কানাডার দাবানলের কারণেও তেল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, যা সরবরাহের ঝুঁকি আরও বাড়িয়েছে।

ওপেক+ এর সম্ভাব্য ভূমিকা
বুধবার ওপেক এবং এর মিত্র দেশগুলোর (ওপেক+) একটি পূর্ণাঙ্গ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে সূত্র জানিয়েছে, আট সদস্য দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হতে পারে, যেখানে জুলাই মাসের জন্য উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণ মৌসুমে তেলের চাহিদা বাড়বে। একইসঙ্গে কানাডার দাবানল এবং ওপেকের বাইরের দেশের উৎপাদন স্থবির থাকায় ওপেক+ দেশগুলোর ওপর নির্ভরতা বেড়েছে।
রিস্ট্যাড এনার্জির ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিভ শাহ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ওপেক+ এর কাছ থেকে তেলের চাহিদা বাড়ছে। সরবরাহ বিঘ্নিত হলে দাম আরও বাড়তে পারে।’