দেশের মানুষকে সুস্থ রাজনীতি উপহার দিতে চাই : জি এম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, যে জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে সমর্থন দেওয়া হয়েছিল তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটেনি। এ সরকার ক্ষমতায় এসে যা করছে, তা বিএনপির চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি। আমরা এর পরিবর্তন চাই। আমরা দেশের মানুষকে সুস্থ রাজনীতি উপহার দিতে চাই।
আজ সোমবার দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জি এম কাদের এ কথা বলেন।
নির্বাচনে জোট গঠনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটার ওপর আমাদের ভবিষ্যৎ রাজনীতির অস্তিত্ব নির্ভর করছে। তাই তৃণমূল থেকে দলের উচ্চ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বিএনপির সঙ্গে জোটের বিষয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা গোপন কোনো আঁতাত করি না। যা কিছু হবে স্বচ্ছ।’
বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের নীতিগত পার্থক্য থাকলেও তাদের কর্মকাণ্ড এক উল্লেখ করে দলটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের মানুষ এদের বাইরে কাউকে চায়। দেশের মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা চায়। দেশের মানুষ খুন, ধর্ষণ, লুটপাট থেকে মুক্তি চায়। আমরা আমাদের নিজস্ব রাজনীতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষকে সুস্থ রাজনীতি উপহার দিতে চাই।’
এরশাদের শাসনামলের কথা উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘এরশাদের শাসনামলে সংখ্যালঘুরা ভালো ছিল। দেশে সুশাসন ছিল। দুর্নীতি কম ছিল। আমরা তেমন সুশাসন নিশ্চিত করে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।’
জাতীয় পার্টিতে ভাঙনের বিষয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘একটা দলে থাকলে অনেকেই নির্বাচন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরমধ্য থেকে আমরা একজনকে বেছে নিই। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’
পাঁচ দিনের সফরে ঢাকা থেকে দুপুর ১২টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান জি এম কাদের। পরে সড়ক পথে রংপুর সার্কিট হাউসে পৌঁছালে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দলের নেতাকর্মীরা।
এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি করপোরেশন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাসুদ নান্টু, সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসিরসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।