নিখোঁজের ১০ দিন পর পুকুরে মিলল কলেজছাত্রের মরদেহ, ৩ বন্ধু গ্রেপ্তার
নিখোঁজের ১০ দিন পর জলায়শয়ে পাওয়া গেল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ফারাবি আহমেদ হৃদয়ের মরদেহ। তাকে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তারের পর তাদের তথ্যে উদ্ধার করা হয় বস্তাবন্দি মরদে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৪ ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলনে জানায়, র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রথমে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যে আশুলিয়ার শ্রীপুরে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় কলেজছাত্র হৃদয়ের বস্তাবন্দি মরদেহ। ১০ দিন আগেই হুদয়কে অপহরণ করে হত্যা করে তারই বন্ধুরা। পরে মরদেহ ফেলে দেয় পুকুরে। এমনকি, মরদেহ যেন ভেসে না ওঠে, সেজন্য বস্তার সঙ্গে ইট বেঁধে দিয়েছিলেন তারা।
নিহত মো. হৃদয় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফজলুল হক মিয়ার ছেলে। গত ৮ মে জামগড়ার বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় সে। ঘটনার পর ১১ মে আশুলিয়া থানায় নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। এরমধ্যে তার (হৃদয়) মোবাইল ফোন থেকে পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
গ্রেপ্তার একজন মুয়াজ হোসেন পরান (২২)। তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর থানার পশ্চিম দাসপাড়া গ্রামে। বর্তমানে আশুলিয়ার জামগড়ায় শফিকের বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন এবং স্থানীয় ফার্নিচারের দোকানের কর্মচারী। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপরজন হলেন সুমন মিয়া বাপ্পী (২৫)। তাঁর বাড়ি বগুড়া জেলার সোনাতলা মহেশপাড়া গ্রামে। বর্তমানে তিনি আশুলিয়া শ্রীপুরে দারোগ আলীর বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন এবং পেশায় নির্মাণশ্রমিক। তাকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪। এরপর আজ দুপুরে রাজধানীর মিরপুর থেকে আকাশ নামে এক পোশাকশ্রমিককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, গত ৮ মে সকাল ১০টার দিকে পরাণ হৃদয়কে তাঁর ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে যান। পরে তাকে জিম্মি করে তার পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। সেদিনই দুপুরে তাকে হত্যা করে মরদেহ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রাখেন অপহরণকারীরা। পরে বিকেল ৪টার দিকে পুকুরে বস্তার সঙ্গে ইট বেঁধে মরদেহ ডুবিয়ে দেন। এ ঘটনায় মোট চারজন জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।