নিখোঁজের ৫ মাস পর মিলল ব্যবসায়ীর মরদেহ
মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থেকে পাওনা টাকা আনতে গিয়ে নিখোঁজের পাঁচ মাস পর স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মরদেহ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখালী এলাকার বিসিক কেমিক্যালপল্লী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)। ওই ব্যবসায়ীর নাম অনুপ বাউল।
নিখোঁজ অনুপ বাউলের ছোট ভাই বিপ্লব বাউল জানান, তার ভাই গত ৩ জানুয়ারি স্ত্রী-সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার ভাড়ালিয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াত যান। সেখান থেকে তার ব্যবসায়িক পার্টনার নয়ন তাকে পাওনা দুই লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে কল করে ডেকে নেন।
গত ৪ জানুয়ারি সকাল ৯টায় নয়নের কাছে যাওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হন অনুপ। ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে নয়ন তার মোবাইল ফোন থেকে কল করে তাকে (বিপ্লব) জানান যে তার ভাই (অনুপ) ফোন রিসিভ করছেন না। পরে তিনি তার ভাইকে ফোন দিলে সেই ফোনও রিসিভ হয়নি। ওই দিন বিকেল ৫টার পর থেকে তার ভাইয়ের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিপ্লব বলেন, ‘এই ঘটনায় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ প্রথমে তা গ্রহণ করেনি। পরে সিরাজদিখান থানায় একটি জিডি করি। এই ঘটনায় রাজধানীর ধলপুর র্যাব ১০-এর কার্যালয়েও একটি লিখিত অভিযোগ দেই।’
রাজধানীর তাঁতীবাজারে অনুপ বাউলের একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে। ওই দোকানের ব্যবসায়িক পার্টনার নয়ন। নয়নের বাড়ি কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া ইউনিয়নের জৈনপুর গ্রামে। তিনি এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তার দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতেই অনুপ বাউলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়ছেন ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম।
ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক সালেহ ইমরান জানান, অনুপের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিডফোর্ড) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ বিকেলে পিবিআই ধানমণ্ডি অফিসে বিস্তারিত জানানা হবে বলেও জানান তিনি।