নিজ ঘরে ব্যবসায়ীর মরদেহ : পুলিশের জেরায় স্ত্রী-সন্তান
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাজিরহাটে নিজের ঘর থেকে কাপড় ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিনের (৬৫) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের পর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ড সন্দেহে এরই মধ্যে পুলিশের একাধিক টিম তদন্ত শুরু করেছে। আজ মরদেহ উদ্ধারের পর সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ বলছে, ‘বিছানায় রিয়াজ উদ্দিনের মরদেহ লেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। ঘরের দেওয়ালে রক্তের দাগও পাওয়া গেছে।’ ভারী কিছুর আঘাতে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের।
সৈয়দপুর সদর উপজেলার জামিল গার্মেন্টসের স্বত্ত্বাধিকারী ছিলেন নিহত রিয়াজ। তিনি শহরের কাজীপাড়া এলাকার মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে। আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে নিজের ঘর থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ। এরপর মরদেহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে।
নিহতের বড় ছেলে জামিল উদ্দিন জানান, তিনতলা ভবনের নিচতলায় আলাদা রুমে থাকতেন তাঁর বাবা ও মা। বাবা রিয়াজ ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। সকালে মা জরিনা বেগম বাবার রুমে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে আমাদের খবর দেন। পরে পুলিশকে জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় থাকতেন নিহতের অন্যান্য ভাই। রিয়াজের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর মরদেহ লেপ দিয়ে মোড়ানো পাওয়া অবস্থায় পান তাঁরা। ঘরের দেওয়ালেও ছিল রক্তের দাগ। পরে ঘটনাস্থলে জেলা ও রংপুর বিভাগীয় গোয়েন্দা পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, পারিবারিক কলহের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। পুলিশের একাধিক টিম তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী জরিনা বেগম, বড় ছেলে জামিল উদ্দিন ও ছোট ছেলে ইমরান হোসেনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।