পণ্য পরিবহণে ধর্মঘট চালানোর ঘোষণা ট্রাকমালিকদের
জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে পণ্য পরিবহণে ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক–কাভার্ডভ্যান, ট্যাংক লরি ও প্রাইম মুভার মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আজ রোববার বিকেলে সমিতির তেজগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন নেতারা।
পরিষদের নেতারা বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর পর তারা ধর্মঘটে গেছেন। তারা চান, ডিজেলের দাম কমানো হোক। ভাড়া কোনো বিষয় না। ডিজেলের দাম কমানোর দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পাশাপাশি নেতারা যমুনা বহুমুখী নেতু ও মুক্তারপুর সেতুর বর্ধিত টোল প্রত্যাহার এবং টোলের নামে দেশের সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার চাঁদাবাজি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন ঢাকার ধানমণ্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বাসায় বৈঠকে করেন নেতারা। সেখানে এ বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় ধর্মঘট অব্যাহত থাকে।
গত বুধবার রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। এরপর বাড়তি মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে বাস, ট্রাক ও অন্য পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকেরা।
এদিকে আজ বিকেলে বাসের ভাড়া ডিজেল ও কোরোসিন তেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাসভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিকেলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে পরিবহণ মালিকদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।
এতে বলা হয়, এখন থেকে দূরপাল্লায় বাসে প্রতি কিলোমিটারে ১.৮০ টাকা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাসে ২.১৫ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের। সবশেষ দূরপাল্লার বাসের ক্ষেত্রে ১.৩৯ টাকা এবং মহানগরের ক্ষেত্রে ১.৭০ টাকা ভাড়া ছিল।