পরী মণির জামিননামা দাখিল, কারাগারেই গেলেই পাবেন মুক্তি
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরী মণিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ জামিনের আদেশ দেন। এরপরে বিকেলে পরী মণির আইনজীবী মজিবুর রহমান ও নীলাঞ্জনা রিফাত পরী মণির পক্ষে জামিননামা দাখিল করেন।
এ বিষয়ে আদালতের সেরেস্তাদার রাশেদ এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরী মণির জামিনের আদেশ লেখার পরে বিচারক তা স্বাক্ষর করবেন। এরপরে জামিননামা কয়েকটি ধাপে স্বাক্ষর হওয়ার পরে বিচারক চূড়ান্ত স্বাক্ষর করবেন। পরে আদালত থেকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রথমে পাঠানো হবে। সেখান থেকে আবার কারাকর্তৃপক্ষ জামিননামা গাজীপুরের কাশিমপুরে মহিলা কারাগারে পাঠাবেন। সেখান থেকে পরী মণিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরী মণি ও তাঁর সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় পরী মণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরী মণি ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
এই মামলায় তিন দফায় রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট আদালতের নির্দেশে পরী মণিকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন গত ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরী মণির জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মজিবুর রহমান। পরে আদালত জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির দিন ধার্য করার আদালতের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করে গত বুধবার হাইকোর্টে আবেদন করেন পরী মণি। পরদিন বৃহস্পতিবার পরী মণির নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন অবিলম্বে শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালত জামিন শুনানির যে দিন নির্ধারণ করেছিলেন, তা কেন বাতিল করা হবে না মর্মে রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।