প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দুস্থ ও পথশিশুদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেছেন ছাত্রলীগের উপসমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এ বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এ সময় মেয়েদের ফ্রক, ছেলেদের টি-শার্ট এবং সবাইকে বেলুন উপহার দেওয়া হয়।
তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তায় রাষ্ট্র পরিচালনার বাইরে জননেত্রী শেখ হাসিনার রয়েছে কোমল একটা মন। আমরা প্রায়শই দেখি রাষ্ট্রীয় গুরুদায়িত্ব পালনের ফাঁকে একটু সময় পেলেই নিজের বাসভবনের সবুজ লনে প্রায়ই নিজের শৈশবকে খুঁজে বেড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নাতনির জন্মদিনে রান্না করে খাওয়ানো, ভ্যানে ওঠা, ছেলের সঙ্গে ব্যাটমিন্টন খেলা অথবা সমুদ্রে পা ভেজানোর ছবিগুলো একজন রাষ্ট্রনায়কের আড়ালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুন্দর মনের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। শিশুসুলভ কোমল মন নিয়ে তিনি শিশুদের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন অনায়াসে। শিশুদের সংস্পর্শে তাঁর মাতৃরূপে উচ্ছ্বাসের স্ফূরণ হয়।’
‘আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন। তাই জননেত্রীর কোমল মনের প্রতিভূ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করি। এটাই আমার নেত্রীর জন্মদিনে আমার মতো উনার ক্ষুদ্র একজন কর্মীর পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা জানানো, নেত্রীর জন্মদিন উদযাপন।’ যোগ করেন সৈকত।
গত বছর করোনা মহামারির কারণে লকডাউন ঘোষণার পর টানা ১২১ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ভাসমান মানুষদের মধ্যে রান্না করা খাবার দিয়েছিলেন সৈকত ও তাঁর বন্ধুরা। এরপর সুনামগঞ্জের বেদেপল্লি ও গুচ্ছগ্রামে ২৩ দিন দুই বেলা খাবার বিতরণ করেন সৈকত ও তাঁর বন্ধুরা। এরপর গত রমজান মাসেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সেহেরি কার্যক্রমে খাবার রান্না ও বিতরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন সৈকত। চালু করা হয় শিশু খাদ্য কার্যক্রম।
এরপর চলতি বছর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও অতিমাত্রায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুর্গম ও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচরে অসংখ্য পরিবারের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় ঢালচরে ছয় পরিবারের ভিটায় নিজেরা মাটি কেটে ঘর তুলে দেন। ১০০ পরিবারের কাছে চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার, সেলাইন ও খাবার বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ উপহার পৌঁছে দেন সৈকতের বন্ধুরা।
এ ছাড়া করোনাভাইরাসের টিকার নিবন্ধন করলে বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমও চালু করেন।
লক্ষ্মীপুরের ছেলে সৈকত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ছেন। তিনি ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে গত ডাকসু নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।