প্রায় কোটি টাকা নিয়ে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী
প্রবাস থেকে বাড়ি ফিরে স্বামী দেখেন ঘরে তালা। প্রায় কোটি টাকা নিয়ে উধাও স্ত্রী! ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বিলবাউস গ্রামে।
সৌদি প্রবাসী মো. ইমরল লস্কর বিলবাউস গ্রামের মৃত ইয়ার আলী লস্করের ছেলে। তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম একই গ্রামের আলহাজ হাসেম শেখের মেয়ে।
ইমরুল বলেন, সৌদি আরব থেকে আজ রোববার সকালে বাড়িতে এসে দেখি গেটে তালা দেওয়া। পাশে আমার শ্বশুরবাড়ি। সেখানে গিয়ে আমার শ্বশুর আলহাজ হাসেম শেখ ও শাশুড়ি ভ্যাগা বেগমের কাছে স্ত্রীর কথা জানতে চাইলে তারা বলেন, জানি না, কোথায় গেছে।
ইমরুল লস্কর আরও বলেন, ২০০২ সালে ফাতেমার সঙ্গে আমার প্রেম হয়। পরে বিয়ে করি। ২০০৭ সালে আমি সৌদি আরবে যাই। সেখান থেকে আমি আমার স্ত্রীর নামে দীর্ঘ ১৫ বছরে প্রায় কোটি টাকা পাঠাই। এ ছাড়া আমার নামে বাড়ি করার জন্য গ্রামে ১৩ শতক জমি ক্রয় করতে বলি। সেটাও তার নামে রেজিস্ট্রি করেছে। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি এর বিচার চাই।
ইমরুল লস্ককরের এই অবস্থা দেখে প্রতিবেশীরা ফাতেমা বেগমের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, মো. মুজিবর মোল্য, লিটন লস্কর, আব্বাস লস্কর, মনিরুল লস্কর, মিজানুর লস্কর, লাভলী বেগম, শারমিন সুলতানা প্রমুখ।
প্রতিবেশী মুজিবর মোলা বলেন, কয়েকদিন বাড়ির বিল্ডিং ও সীমানা প্রাচীরের গেটে তালা দেওয়া দেখতে পাই। তিনি আরও বলেন, কালিয়ার চাদপুর গ্রামের কারেন্ট মিস্ত্রি কবিরের সঙ্গে তার একটা পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সম্ভবত তার কাছে চলে গেছে।
মহিলারা বলেন, আমরা এই বেঈমান ফাতেমা বেগমের বিচার চাই, আপনাদের মাধ্যমে।
এ বিষয়ে ফাতেমা বেগমের কাছে জানতে ফোন করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার মা ও বাবা হাসেম মোল্যার কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, মেয়ে কোথায় গেছে, আমরা জানি না। তবে আমার মেয়ের জামাই ইমরুল তার নামে টাকা-পয়সা পাঠাত এবং বাড়ি কিনে দিয়েছে।
প্রায় কোটি টাকা কি না, জানতে চাইলে তারা বলেন, এত টাকা হবে কি না, জানি না।
এ বিষয়ে কালিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কনি মিয়া শেখ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।