বঙ্গবন্ধুর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ স্মরণে ডাকটিকেট
বাংলাদেশের ইতিহাসে ১২ জানুয়ারি অবিস্মরণীয় একটি দিন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দুই দিন পর ১৯৭২ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। দিবসটি স্মরণে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটাকার্ড প্রকাশ করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ মঙ্গলবার তাঁর দপ্তরে এ বিষয়ে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকেট ও ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড এ সময় উদ্বোধন করা হয়। মন্ত্রী এ বিষয়ক একটি সিলমোহর ব্যবহার করেন। তিনি দিবসটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের পর রেসকোর্স ময়দানে জাতির উদ্দেশে প্রায় ১৭ মিনিটের ভাষণ বাঙালি জাতির জন্য ঐতিহাসিক দিকনির্দেশনা। বাংলাদেশের আদর্শগত ভিত্তি কী হবে, রাষ্ট্র কাঠামো কী ধরনের হবে, পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে যারা দালালি করেছে তাদের কী হবে, বাংলাদেশকে বহির্বিশ্ব স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ, মুক্তিবাহিনী, ছাত্র সমাজ, কৃষক, শ্রমিকদের কাজ কী হবে এসব বিষয়সহ সদ্যোজাত বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনার সার্বিক দিক নিয়ে নির্দেশনা দেন। ১১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতির পদে ইস্তফা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। শুরু হয় সংসদীয় গণতন্ত্রের হাত ধরে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া আরো ১১ জন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং সেদিনই মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করা হয়। এর আগে প্রত্যাবর্তনের পরের দিন ১১ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত বাংলাদেশের অস্থায়ী সংবিধান আদেশ, ১৯৭২ জারি করা হয়।’
স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম এবং ডাটাকার্ড এখন ঢাকা জিপিওর ফিলাটেলিক ব্যুরোতে এবং পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান পোস্ট অফিসগুলোতে পাওয়া যাবে।