বঙ্গবাজারে অগ্নিনির্বাপণ কাজে বাধা, তিনজন কারাগারে
বঙ্গবাজারে অগ্নিনির্বাপণের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বংশাল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে তিনজনের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদীর আদালত এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন মো. রাজু, শাওন ও শাহাদাৎ হোসেন।
এদিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার উপপরিদর্শক মাসুদুল হাসান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল বংশাল থানার এসআই ইসরাফিল হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ে ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে আগুন নেভানোর জন্য বংশাল থানাধীন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরসহ অন্যান্য ফায়ার সার্ভিসের অনেকগুলো ইউনিট মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করছিল। একপর্যায়ে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে লাগা আগুন আশপাশের মার্কেটসহ বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এনেক্স ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ভয়াবহতা এমন ছিল, জোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ফায়ার সার্ভিস পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না। অধিকাংশ দোকান পুড়ে যাওয়ায় অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন দুষ্কৃতকারী মারাত্মক দেশি অস্ত্রশস্ত্রসহ বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটের বিপরীত পার্শ্বে থাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে হঠাৎ করেই ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তারা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিসহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়ে সরকারি দায়িত্ব পালনে বলপূর্বক বাধা দেয়।
ওই সময় ঘটনাস্থলে থাকা এডিসির (চকবাজার জোন) নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। বাদী ও তার সহযোগীরা সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। তখন অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাদের সরকারি কাজে বাধা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, লোহার রড ও লাটিসোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে বাদীকে গুরুতর আহত এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা এসআই মো. রুবেল খানকে জখম করে।