বরিশালে ১৪ পুলিশ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত
রাত্রিকালীন দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অভিযোগে গৌরনদী ও উজিরপুর থানার চৌদ্দ পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আকতারুজ্জামান। তিনি জানান, দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও করা হবে।
তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা। এমনকি গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আল বেরুণীও এ বিষয়ে এখনও অবগত নন বলে জানিয়েছেন।
তবে রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় থেকে প্রেরিত পুলিশ সুপার কার্যালয়ের একটি
স্মারকের বরাতে জানা গেছে, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই গৌরনদী মডেল থানার। বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- গৌরনদী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আ. গাফফার হোসেন, এসআই ছগির মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহরাব হোসেন, কনেস্টবল মো. ইকবাল, মো. কামাল, মুরছালিন, নয়ন, অমৃত, মেহেদী ও ড্রাইভার (কনেস্টবল) আ. হক রানা।
অপরদিকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া বাকি চারজন হলেন উজিরপুর মডেল থানার এসআই মো. জিয়াউল হায়দার, কনেস্টবল রবিউল ইসলাম, মো. সোহেল রানা ও ইমরান হোসেন।
জানা গেছে, গত ২ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে বিভাগীয় সদর দপ্তর
কম্পাউন্ডের মধ্যে থাকা গ্যারেজ থেকে ইয়ামাহা এফজেড ভার্সন-২ মডেলের একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। পরবর্তী সময়ে বিভাগীয় সদর দপ্তর কম্পাউন্ডসহ ঢাকা-বরিশাল হাইওয়েতে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হলে তাতে দেখা যায়, অজ্ঞাত পরিচয় এক
চোর খালি পায়ে চাবিবিহীন অবস্থায় মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়। চোর মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকা-বরিশাল হাইওয়ে হয়ে প্রথমে বরিশাল জেলার উজিরপুর ও গৌরনদী থানা এলাকায় প্রবেশকালীন চেকপোস্ট হয়ে ফরিদপুরেরও ভাঙ্গা থানার দিকে চলে যায়।
আর গৌরনদী ও উজিরপুর থানার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যদের সেই রাতে মোবাইল ডিউটি থাকা সত্ত্বেও সঠিকভাবে পালন করেনি বলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে প্রতীয়মাণ হয়। তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতেন তাহলে চোরকে আটকসহ মোটরসাইকেলটি জব্দ করা সম্ভব হতো। আর তা না হওয়ায় নির্বিঘ্নে চোর সব স্থান অতিক্রম করতে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আকতারুজ্জামান।
ডিআইজি বলেন, এ কারণে দায়িত্ব পালনে গাফলতি থাকায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই ওই সব পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা (মামলা রুজু) নেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে।