বরিশাল নদীবন্দরে থ্রি হুইলার থেকে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শ্রমিকরা। পাশাপাশি নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল নদীবন্দরের সামনে থ্রি হুইলা চালক-শ্রমিকদের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শ্রমিক মো. জালাল বলেন, ‘মহামারি করোনার কারণে মাহিন্দ্রা ও সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের আয় কমে গেছে। এর মধ্যে প্রতিরাতে নদীবন্দর এলাকায় লঞ্চের যাত্রী পরিবহণ করার জন্য আমরা গাড়ি নিয়ে এলে ভাটারখাল এলাকার সুমন ও চাঁদমারী মাদ্রাসা গলির রাজিব, ফয়সাল ও মিলন সিরিয়াল দেওয়ার জন্য চাঁদা আদায় করেন। আমাদের নানা সমস্যার কথা অনেকবার বলেছি ইউনিয়নকে। তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

একাধিক শ্রমিক জানান, থ্রি হুইলার, মাহিন্দ্র, সিএনজি যাত্রী পরিবহণ করার জন্য নদীবন্দরে এলে সুমন ও তাঁর সহযোগীরা সিরিয়াল দেওয়ার জন্য অগ্ৰীম পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা এবং প্রতিরাতে গাড়িপ্রতি ১০০ টাকা আদায় করেন। প্রতিবাদ করলে মারধরের শিকার হতে হয়। তাই চাঁদাবাজি বন্ধের প্রতিবাদে আমরা সব শ্রমিক গাড়ি বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করি।

বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমি সব সময় সাধারণ শ্রমিকদের পাশে আছি। নদী বন্দর এলাকায় কোনো গাড়ি থেকে কেউ চাঁদাবাজি করলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সুমন, ফয়সাল, রাজিব বা মিলনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।