মোংলা বন্দরে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের বিক্ষোভ, জেটিতে বন্ধ কাজ
মোংলা বন্দরে কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) কর্মচারীকে গুলি করার হুমকি দেওয়ায় বন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে তাঁর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কর্মচারীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মোংলা বন্দরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের গুলি করার হুমকি দেয় বন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মেহেদী। এতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সিঅ্যান্ডএফ শ্রমিক-কর্মচারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নৌ কন্টিনজেন্ট সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। পরে বিক্ষুদ্ধ কর্মচারীরা তাঁর কার্যালয় ছেড়ে বাইরে গিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন।
মোংলা বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন লিটন বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সরকার বন্দর জেটিতে কাজে প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দেন নিরাপত্তা কর্মীরা। কাজে আসা কর্মচারীরা অ্যাপ্রোন (পোশাক) পরে না আসায় তাদের বাধা দেওয়া হয়। এ সময় কর্মচারীরা এমন নিয়ম শুনে আপত্তি করলে তাকে গুলি করার হুমকি দেয় প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মেহেদী। এ ঘটনায় প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। এ সময় প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মেহেদী তাঁর কার্যালয়ের ভেতরে ছিলেন।’
এ বিষয়ে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মেহেদীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না।’
অফিসে অবরুদ্ধ আছেন কি না জানতে চাইলে তিনি আবারও বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না’। এ বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।
মোংলা বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো. সুলতান হোসেন খাঁন প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিচার চেয়ে বলেন, ‘মোংলা বন্দর যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হচ্ছে সেখানে আমরা এখন কাজ করতে পারছি না। আমাদের দুজন কর্মচারীকে গুলি করে মেরে ফেলার নির্দেশের ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত মোংলা বন্দরের সব কাজ বন্ধ থাকবে।’
সুলতান হোসেন আরও বলেন, ‘৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনার সুরহা না হলে সব বন্দর অচল করে দেওয়া হবে।’
এদিকে, এ ঘটনায় দুপুর ২টা থেকে বন্দর জেটিতে সব কাজ বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছে সিঅ্যান্ডএফ শ্রমিক-কর্মচারীরা।