ম্যাজিস্ট্রেটের নাম ভাঙিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় আইনজীবী আটক
মামলায় খালাসের কথা বলে ম্যাজিস্ট্রেটের নাম ভাঙিয়ে আসামির কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মো. জুয়েল মুন্সি সুমন নামের এক আইনজীবীকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার সিএমএম আদালতের ২৮ নং আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী গৌতম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মো. আবিরুল ইসলাম চৌধুরী নামের এক আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে তার স্ত্রী যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। সে মামলার পরে গত ২৮ অক্টোবর আইনজীবী পরিচয় দিয়ে জুয়েল মুন্সি ফোন দেন। তিনি ফোন দিয়ে বলেন, আমি (আসামি) সহ পরিবারের আরও তিনজনের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে মামলায় তিনজনকে বাদ দেওয়া যাবে, এই জন্য জন প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে। সে কথা অনুযায়ী আসামি বনানীর আরগিলা হোটেলে বসে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করে এবং মামলা থেকে বাদ দেওয়া ম্যাজিস্ট্রেটের কাগজ সরবরাহ করে। পরে ৩০ অক্টোবর মামলার দরখাস্তের খরচ বাবদ আসামির কাছ থেকে আরও ১৫ হাজার টাকা নেয়।
গৌতম জানায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর সিএমএম ৭ নং আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালত থেকে জামিন করাবে এবং সিএমএমকে ম্যানেজ করে ২৮ নং আদালতে মামলাটি স্থায়ী জামিন করাবে বলে আরও তিন লাখ টাকা ও মামলা নিষ্পত্তির পরে আরও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানায়।
বেঞ্চ সহকারী জানান, আজ মামলাটি সিএমএম ২৮ নং আদালতে চার্জ শুনানির জন্য ছিল। আজ আবার শুনানির জন্য ২০ হাজার টাকা আসামির কাছ থেকে আইনজীবী গ্রহণ করে। আইনজীবী মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণা করে ভুক্তভোগী আসামির কাছ থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের নাম ভাঙিয়ে মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা অর্থ আত্মসাত করে।
বেঞ্চ সহকারী বলেন, এই ঘটনায় আসামি সিএমএম আদালতের ২৮ নং আদালত বরাবর অভিযোগ করেছেন। এখন আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আসামি মো. আবিরুল ইসলাম চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ সিএমএম আদালত বরাবর দিয়েছি। এটি এখন মামলা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য কোতোয়ালি থানায় ফরোয়ার্ড করা হয়েছে। আইনজীবী আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমি ন্যায়বিচার চাই।