রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও শ্যামপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসা একটি কিশোর গ্যাংয়ের ১৪ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। 

আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীনের বরাত দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও শ্যামপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। আটকরা হলেন—সম্রাট (২০), মো. শান্ত (১৯), মো. সোহাগ (১৯), মো. ফারুক (১৫), মো. রবিন (১৭), অর্ণব (১৬), বিবেক (১৫), মো. তুহিন (১৬), রিফাত (১৬), মো. রাব্বি (১৬), জিসান (১৬), মো. এহেমাদ (১৬), ইসমাম হোসেন (১৭) ও  রবিউল ইসলাম (১৬)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাব জানতে পারে আটকরা ‘কিশোর গ্যাং’-এর সক্রিয় সদস্য। তারা যাত্রাবাড়ী ও শ্যামপুরের বিভিন্ন এলাকায় একাকি পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল হ্যান্ডসেট, ল্যাপটপসহ সাথে বহন করা দ্রব্যসামগ্রীর ব্যাগ ইত্যাদি ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যেতো।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুরি/ছিনতাই ছাড়াও তারা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় মারামারি করে আসছিল বলে স্বীকার করেছে। এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে তারা সাধারণ মানুষের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করে আসছিল। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এদের মধ্যে মো. সম্রাট, মো. শান্ত ও মো. সোহাগের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় ছিনতাই মামলায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বাকি ১১ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে র‌্যাব-১০ তাদের কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।