এক কক্ষের বাসা। ভেতরে ছোট্ট রান্নাঘর। সেখানে রাখা ছিল একটি গ্যাস সিলিন্ডার। আজ সোমবার সকালে রান্নার জন্য চুলায় আগুন দিলেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে কক্ষটি। এতে চারজন দগ্ধ হয়।

দগ্ধ চারজনকেই নেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। তাদের সবার অবস্থা গুরুতর। সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুগদার মাতব্বর গলি এলাকায় একটি পাঁচতলা বাড়ির নিচতলায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

অগ্নিদগ্ধরা হলেন সুধাংশু (৩৫), তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা (৩২), তাঁদের ছেলে উরক (৫) এবং সুধাংশুর শাশুড়ি শেফালি (৫৫)।

দুপুরে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জামাল উদ্দীন এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য জানান।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দগ্ধ চারজনের কারো অবস্থা ভালো না। তবে, সুধাংশুর শরীর অন্যদের চেয়ে তুলনামূলক ভালো।’

এদের মধ্যে সুধাংশু ২৫ শতাংশ, প্রিয়াঙ্কা ৭২ শতাংশ, উরক ৬৭ শতাংশ এবং শেফালি ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।

ওসি মীর জামাল উদ্দীন বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, সিলিন্ডারটি লিকেজ হয়ে গ্যাস ছড়িয়ে ছিল পুরো কক্ষে। আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গেই কক্ষটি জ্বলে ওঠে। সে সেময় ওই কক্ষে চারজন ছিলেন। চারজনই দগ্ধ হয়েছেন।’

মীর জামাল উদ্দীন বলেন, ‘একটি মাত্র কক্ষের বাসায় শেফালি ও তাঁর ছেলে পলাশ থাকতেন। সুধাংশু স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে শরীয়তপুর থেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। সকালে পলাশ বাসার বাইরে ছিলেন। রান্নার জন্য চুলা ধরালেই প্রথমে আগুন ধরে যায়। পরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণও হয়। ওই বাড়ির মালিকের নাম সাজু মিয়া।’