শিশুকে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় হাসি নামের পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে তার মা রত্না বেগম (২৫) গলাটিপে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পার্বতীপুর পৌর শহরের গুলপাড়া মহল্লায় গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি স্বজনদের।
স্বজনেরা বলছেন, রত্না হঠাৎ বাড়িতে এসে বলেন, ‘আমার মেয়ে হাসিকে গলা টিপে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দিয়েছি। আপনারা পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করুন।’ পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্বজনরা পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেন। রত্না মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি পরিবারের।
নিহত শিশুর বাবার নাম হাসিনুর সরদার টুংকু। তিনি বদরগঞ্জ উপজেলার গোপিনাথপুর সরদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় সুপারভাইজার পদে কর্মরত।
স্বজনেরা জানান, রত্না বেগম অনার্সের ছাত্রী। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি বিভিন্ন সময় পরিবারে বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন। রত্না মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি পার্বতীপুরেই দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে শিশুটির মরদেহ ও মাকে থানায় নিয়ে আসেন। ওসি বলেন, ‘এ ঘটনা তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’ এ ঘটনায় এলাকায় শত শত বাসিন্দা ভিড় জমায়।