যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন ও অতর্কিত হামলার মামলায় রংপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেবাংশু কুমার সরকারকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

আজ রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা ও খন্দকার দিলীরুজ্জামান এর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় বিচারক হয়ে এমন অভিযোগ আসায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। 

শুনানিতে আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমদ ভুঁইয়া। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল। 

গত বছরের ১৯ এপ্রিল বিচারক দেবাংশু কুমার সরকারের স্ত্রী ডা. হৃদিতা সরকার বাদী হয়ে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এ যৌতুক না পেয়ে নির্যাতনে স্বামীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- দেবাংশু কুমার সরকারের বাবা সুধাংশু কুমার সরকার চয়ন, ফুফাতো ভাই নিলয় দে সরকার ও চাচা রঞ্জন সরকার।

মামলার আবেদন ও বাদীপক্ষের আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার দেবাংশু কুমার সরকারের সঙ্গে একই উপজেলার নারায়ণ সরকারের মেয়ে হৃদিতা সরকারের বিয়ে হয় ২০১৫ সালের ১১ মে। বিয়েতে হৃদিতার ৫০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী দেবাংশুকে দেন। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, বিয়ের কয়েক মাস পরে দেবাংশু একটি প্রাইভেটকার কেনার জন্য হৃদিতার পরিবারের কাছে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেন। হৃদিতা সেই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। পরে দেবাংশু ৩০ লাখ টাকা না পেলে হৃদিতা সরকারের সঙ্গে সংসার করবেন না বলে জানিয়ে দেন।