৯৯৯-এ কল : লক্ষ্মীপুরে উদ্ধার গৃহবধূ
আপেল না দেওয়াটাই ‘দোষ’ তাঁর। পরে বাধে বাগ্বিতণ্ডা। একপর্যায়ে পুত্রবধূ নূপুর আক্তারের (২৭) চোখে-মুখে মরিচের গুড়া ছড়িয়ে দেন শাশুড়ি শুকরি বেগম।
নূপুর তাঁর স্বামী মো. সুজনকে বিষয়টি জানালে চলে উল্টো নির্যাতন। সুজনের মারধরে অচেতন হয়ে পড়েন নূপুর। এমন সব অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ৯৯৯-এ কল করেন নূপুর। পরে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সদর উপজেলার রাজীবপুর গ্রামের বশির উল্লাহর বাড়ি থেকে নূপুরকে উদ্ধারের পর চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়ি পলাতক আছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, রাজীবপুর গ্রামের সুজনের সঙ্গে সাত বছর আগে আবিরনগর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে নূপুরের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে দুই ছেলে রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই নূপুরকে স্বামী ও শাশুড়ি কারণে-অকারণে মারধর করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে শাশুড়ি আপেল চাইলে, তা না দেওয়ার অভিযোগ এনে নূপুরকে গালমন্দ করেন। এতে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাশুড়ি নূপুরের চোখে-মুখে মরিচের গুড়া ছুড়ে দেন।
ঘটনার কিছু সময় পরে সুজন বাড়ি আসেন। নূপুর তখন তাঁকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু, সুজন স্ত্রীর কথায় বিশ্বাস না করে রেগে যান। পরে তিনি নিজেও মারধর করলে নূপুর অচেতন হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে গৃহবধূর ভাই জহির হোসেন ও ইসমাইল হোসেন বোনকে উদ্ধার করতে ছুটে যান। এর আগেই স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করেন।
নূপুরের ভাই ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘সুজন ও তার মা কারণে-অকারণে আমার বোনের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়।’
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ায় মা-ছেলেকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগীকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।