আপন জুয়েলার্সের কাগজপত্রে সন্তুষ্ট নয় শুল্ক গোয়েন্দা
জব্দ করা ১৩ মণ সোনার মধ্যে ১২০ কেজি সোনার কাগজপত্র দেখিয়েছে আপন জুয়েলার্স। তবে এসব কাগজপত্রে সন্তুষ্ট নয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত পরিদপ্তর।
আজ মঙ্গলবার আপন জুয়েলার্সের মালিকদের সঙ্গে জেরা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক মো. শফিউর রহমান।
আজ বেলা ১১টার দিকে কাকরাইলের তথ্য শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে আসেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ। প্রায় চার ঘণ্টা দিলদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই ভাই গুলজার আহমেদ, আজাদ আহমেদ এবং তিন আইনজীবী।
শফিউর রহমান বলেন, ‘আপন জুয়েলার্সের বিষয়টি আমরা অনেকটা গুটিয়ে এনেছি। আমরা তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র চেয়েছি। এর জন্য তাদেরকে কয়েক দফায় সময় দিয়েছি। আজকে তারা যে কাগজপত্র দিয়েছে তা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। তাদের দেওয়া কাগজগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব।’
যুগ্ম পরিচালক শফিউর রহমান বলেন, ‘তারা যে কাগজপত্র দিয়েছে তাৎক্ষণিক ভাবে আমরা কিছু কাগজ দেখেছি। সেখানে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের লাগেজ নিয়মে যাত্রীদের কাছ থেকে কিছু সোনার বার কিনেছে।’
শফিউর রহমান বলেন, ‘আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষ আমাদের কাছে আজ আবার সময় চেয়েছে। তাদের এতদিন সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। এখন তাদের সময় দেওয়া মানে সময়ক্ষেপণ ছাড়া আর কিছুই নয়।’
অন্যদিকে জেরা শেষে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আপন জুয়েলার্সের আইনজীবী তাইফুল সিরাজ।
তাইফুল সিরাজ বলেন, ‘আমাদের কাগজপত্র বিচ্ছিন্নভাবে থাকায় আজ আমার কিছু কাগজপত্র দিয়েছি। অন্যান্য সোনার কাগজপত্রের জন্য আমরা সময় চেয়েছি। তারা সময় দিলে আমরা আরো কাগজপত্র দিতে পারব।’
তাইফুল সিরাজ বলেন, ‘আমাদের বেশ কিছু উৎস থেকে সোনাগুলো সংগ্রহ করা। আজকে আমরা একটা উৎসের কাগজ দিয়েছি।’
গত ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ আপন জুয়েলার্সের গুলশানের দুটি শাখা, উত্তরা, মৌচাক ও সীমান্ত স্কয়ারের শাখায় অভিযান পরিচালনা করে সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণালংকার ও ৪২৭ গ্রাম হীরা অবৈধভাবে মজুদ রাখার দায়ে সাময়িকভাবে আটক করে। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এবং আমদানি ও ক্রয়ের উৎস সন্দেহজনক হওয়ায় সেগুলো সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে ওই শাখাগুলো সিলগালা করে দেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।