'কপালের অর্ধেক ফালাইয়্যা দিছে'
বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের আমখোলা গ্রামে মাছ চুরির অভিযোগে রবিউল আউয়াল নামের (১০) এক শিশুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটির চোখ উৎপাটন করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
urgentPhoto
রবিউল আউয়াল স্থানীয় একটি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবার নাম দুলাল মৃধা। এ ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মিরাজকে তালতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আমখোলা গ্রামের খালপাড়ে রবিউল আউয়ালের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তার স্বজনদের খবর দেন। এ সময় রবিউল আউয়ালের বাবা দুলাল মৃধার উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
রবিউলের বাবা দুলাল মৃধা জানান, বাড়ির পাশের লুতরার খালে জাল পেতে মাছ ধরত প্রতিবেশী মিরাজ। দুদিন আগে তার জালের মাছ চুরি হওয়ায় রবিউলকে সন্দেহ করে সে। এ ঘটনার পর গতকাল বিকেলে সোহাগ নামের অপর এক কিশোর আমখোলা গ্রামের খালপাড়ে রবিউল আউয়ালের লাশ পড়ে থাকতে দেখে তার স্বজনদের খবর দেয়। এ সময় রবিউলের বাবা দুলাল মৃধার উপস্থিতিতে তার লাশ উদ্ধার করে সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকে সন্দেহভাজন মিরাজ পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন রবিউলের স্বজনরা।
রবিউলের ফুপাতো বোন সাহিদা বলেন, ‘আমি শুনছি যে, আমার ফুপাতো ভাই রবিউল আউয়াল নাকি মাছ ছাড়াইতে গেছে। তার পরে মিরাজ নামের একটা ছেলে, ও ওরে (রবিউল) শাবল দিয়া পিটান মারছে (পিটিয়েছে)। শাবল দিয়া পিটান মাইর্যা ওর একটা চোখ উঠাইয়্যাই ফালাইছে। কোন জায়গায় ফালাইছে, আমরা সেটা পাই নাই। কপালের অর্ধেক ফালাইয়্যা দিছে।’
বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) বিজয় বসাক বলেন, ঘটনা তদন্তের জন্য পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। তাঁর চোখে আঘাত রয়েছে।