খুলনায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
খুলনার খালিশপুর রোটারি স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষকের নাম আশরাফ হাসান, তিনি স্কুলে ইংরেজি পড়ান।
যৌন হয়রানির শিকার ওই শিক্ষার্থীর বাবা বিষয়টি জানলেও লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেননি। তবে একজন স্বজন এ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
ওই স্বজন গত ২৫ ডিসেম্বর ফেসবুকে লেখেন, ‘কুকুর স্বভাবের পুরুষগুলো এটা কেন বোঝে না যে আমাদের শিক্ষকতার পেশা থেকে তাদের দূরে থাকা উচিত? আমার জনৈক সহকর্মী (সহকর্মী বলতে লজ্জিত আমি) এক ছাত্রীকে গতকাল যৌন হয়রানি করেছে, অল্পতে রক্ষা পেয়েছে মেয়েটি।’ এরপর এ স্ট্যাটাস পড়ে আজ পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তি দোষী শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে কমেন্ট করেছেন।
এর মধ্যে ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শিক্ষক আশরাফ হাসান খালিশপুরে স্কুলের পাশের একটি ভবনে কোচিং ব্যবসা করেন। গত বৃহস্পতিবার সকালের ব্যাচে পড়তে যায় দশম শ্রেণির ছাত্রীরা।
পড়ানো শেষে শিক্ষক ওই ছাত্রীকে একটু অপেক্ষা করতে বলেন। এ সময়ই ওই শিক্ষক ছাত্রীকে হেনস্তা করেন। ছাত্রীটি চিৎকার করে উঠলে কয়েকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালিশপুরের রোটারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হক হলেন আশরাফ হাসানের ভগ্নিপতি।
এ ব্যাপারে মো. আবদুল হক জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো লিখিত অভিযোগ তিনি পাননি।
এ ব্যাপারে আশরাফ হাসানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্কুলশিক্ষকদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। তাঁরা ষড়যন্ত্র করতে পারেন।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে কেউ এখনো অভিযোগ করেনি।

মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, খুলনা