পটুয়াখালীতে পল্লীবিদ্যুতের ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা
পটুয়াখালী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কলাপাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. লিয়াকত আলী খানসহ একই কার্যালয়ের আরো পাঁচ কর্মচারীর বিরুদ্ধে উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করা হয়েছে। বিজ্ঞ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. আনিছুর রহমান মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।
কলাপাড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন হাওলাদার রোববার মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্য আসারিরা হলেন অফিস সমন্বয়কারী মো. হাবিবুর রহমান, বিল প্রস্তুতকারী সবিরাতুল মমতা ছবি, বিল ক্লার্ক মো. মন্নান মিয়া, রিডিং ক্লার্ক মো. রফিকুল ইসলাম এবং লাইনম্যান মো. মারুফ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মামলার বাদী মো. জাকির হোসেনের বাবা আ. করিম হাওলাদার তাঁর নিজের দোকানঘরের (মিটার নং ৫০০০৪৩৮৭৯) বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করে আসছেন। সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসেও তিনি ৭০ ইউনিটের বিপরীতে ৭৬৮ টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছেন। অথচ জানুয়ারি মাসে তাঁর মিটারের বিপরীতে ৯১৫ ইউনিট দেখিয়ে নয় হাজার ৪৬৩ টাকা বিল নেওয়া হয়েছে। এ জন্য গ্রাহক হিসেবে আ. করিম হাওলাদার ডিজিএম মো. লিয়াকত আলী খানের কাছে বিল যাচাই করার জন্য দরখাস্ত করেন।
কিন্তু ৪ ফেব্রুয়ারি অফিস সমন্বয়কারী মো. হাবিবুর রহমান, বিল ক্লার্ক মো. মন্নান মিয়া এবং মিটার রিডিং ক্লার্ক মো. রফিকুল ইসলাম গ্রাহক আ. করিম হাওলাদার, তাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদারের কাছে বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করে।
এ ধরনের অন্যায় দাবি পূরণে রাজি না হওয়ায় উল্লেখিত আসামিরা গ্রাহক আ. করিম হাওলাদারসহ তাঁর ছেলেদের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং ভয়ভীতি দেখায়। এ ছাড়া আসামিরা যোগসাজশে মিটার খুলে মিটারের রিডিং ঘুরিয়ে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে আসামিরা মামলা করে জেল খাটানোর ভয় দেখায়।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কলাপাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম মো. লিয়াকত আলী খান জানান, বিল যিনি প্রস্তুত করেছেন, তিনি নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে না দেখে বিল করেছেন। যার ফলে পেছনের যে বকেয়া ইউনিট ছিল, তা জানুয়ারি মাসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আর ডিজিটাল মিটার ঘোরানোর কোনো সুযোগ নেই।