মাগুরায় আসামিদের বাড়ি ভাঙচুর

মাগুরায় ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলা মামলার আসামিদের বাড়িঘর তল্লাশির নামে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ গত রোববার রাতে ওই ঘটনা ঘটায়।
গত শনিবার রাতে মাগুরার মঘীর ঢাল এলাকায় একটি ট্রাকে দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করলে মাগুরা সদর উপজেলার মালিক গ্রামের নয় শ্রমিক দগ্ধ হন। এঁদের মধ্যে রওশন আলী, শাকিল মোল্লা ও আবদুল মতিন নামের তিনজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন।
এ ঘটনায় মাগুরা সদর থানার পুলিশ রোববার রাতেই ১৬ জন অজ্ঞাতসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। আসামিদের ধরতে রোববার রাত থেকেই তাদের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
মামলার আসামি মাগুরা পৌরসভার ৩ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন বাশিরের স্ত্রী ফিরোজা বেগম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, রোববার রাতে পুলিশ ভায়না দক্ষিণপাড়ার বাড়িতে তাঁর স্বামীকে খুঁজতে এসে ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র এমনকি রান্নাঘরের চুলা পর্যন্ত ভাঙচুর করেছে। এখন রান্না করে খাওয়ার মতো অবস্থা নেই।’
বাশিরের ছেলে সজল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পুলিশ বাবাকে ধরতে এসে ঘরের সব ভাঙচুর করেছে।’
মামলার অন্য আসামি ভায়না গ্রামের বালু ব্যবসায়ী সবুজ শেখের স্ত্রী প্রিয়া খাতুন এনটিভি অনলাইনকে জানান, তাঁর স্বামী কোনো রাজনীতি না করলেও পুলিশ তাঁর নামে মামলা দিয়ে ঘরে তল্লাশির নামে টিভি, ফ্রিজসহ সব মালামাল ভাঙচুর করে এবং স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সবুজের মা হাসিনা খাতুন জানান, পুলিশের অত্যাচারে তাঁর ছেলে অনেকদিন ধরে বাড়িছাড়া। সে কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত নয় বলে তিনি দাবি করেন।
একই গ্রামের জেলা যুবদলের সদস্য কাজী উৎপলের বাড়ির ঘরের তালা ভেঙে টেলিভিশনসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করার অভিযোগ করেছেন তাঁর বোন স্নিগ্ধা কাজী।
মাগুরাস সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় মোবাইলে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পুলিশ আসামি ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। ভাঙচুরের সাথে পুলিশের সম্পৃক্ততা নেই। আসামিদের স্বজনরা অযথা পুলিশকে দোষারোপ করছে।’