সরকারি কার্যালয়ে জিও টেক্সটাইল ব্যবহার বাধ্যতামূলক
পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে ছয়টি সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ১ জুন থেকে দেশের সব সরকারি কার্যালয়ে জিও টেক্সটাইল বা পাটজাত টেক্সটাইল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বহুমুখী পাটপণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের সভাপতিত্বে আজ বেলা ১১টায় সভা শুরু হয়ে দুই ঘণ্টা চলে।
সভায় পাটজাত পণ্যকে কৃষিপণ্য হিসেবে গণ্য করার ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ সময় বলা হয়, বর্তমানে পাটজাত পণ্যগুলোকে দেশের বাইরে শিল্পপণ্য হিসেবে রপ্তানি করা হচ্ছে। এতে তুলনামূলক বেশি শুল্ক দিতে হয়। কৃষিপণ্য হিসেবে গণ্য করা হলে রপ্তানি শুল্ক অনেক কমে আসবে। ফলে বহির্বিশ্বে পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
এ ছাড়া ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্যাকেজিং অ্যাক্ট কার্যকর করার মাধ্যমে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহারের পরিবর্তে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে বলেও সভা থেকে জানানো হয়।
সভায় যেসব সুপারিশ করা হয় সেগুলো হলো—কৃত্রিম সিনথেটিক ও পলি প্রোপাইলিন জাতীয় পণ্যের অনুপ্রবেশ রোধ করা, জুট মিলের মেশিনারির আধুনিকায়ন, চট্টগ্রাম ও মংলা উভয় বন্দরের কার্যক্রম জোরদার করে লোডিং ও আনলোডিংয়ের সময় কমিয়ে আনা, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোর মাধ্যমে পাটপণ্যের বাণিজ্যিক কার্যক্রম উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কার্যকর নির্দেশনা প্রদান।
সভা শেষে মন্ত্রী মির্জা আজম সাংবাদিকদের জানান, ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশের গৌরবজনক এ পাটশিল্পকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ধ্বংস করার চক্রান্ত করা হয়। বর্তমান সরকার পাট ও পাটপণ্যকে বিশ্বে আবার সমাদৃত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও এ-সংশ্লিষ্ট ২৮টি সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।