বাবা-মায়ের কোল ছেড়ে মুস্তাফিজ আবার ঢাকায়
গত জুলাইতে সাসেক্সের হয়ে ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট ও রয়্যাল লন্ডন কাপে অংশ নিতে গিয়েই চোটে আক্রান্ত হন মুস্তাফিজ। সাসেক্সের হয়ে তিনি খেলেছিলেন মাত্র দুটো ম্যাচ। ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে নিজের প্রথম ম্যাচে দারুণ বল করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে কাঁধে চোট পান এই তরুণ পেসার। এরপর খেলতে পারেননি আর একটি ম্যাচও।
সে কষ্ট হয়তো চেপে রাখতে পারেননি এই বাঁহাতি পেসার। ইংল্যান্ডে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকায় ফিরে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করেননি। গত ২৪ আগস্ট চলে যান নিজ বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের তালতলা গ্রামে।
নিজের বাড়িতে বিশ্রামে গা এলিয়ে অবসরের দিনগুলো কাটছিল মুস্তাফিজের। কখনো রাস্তায় হেঁটে গল্প-গুজব, পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে আডডা, কখনো মাঠে বসে গ্রামের বন্ধুদের খেলা দেখা, বাড়ির পাশে বাজারে যাওয়া, স্বজনদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেয়ে কেটেছে দিনগুলো।
এভাবে দিনগুলো পার করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই অস্থির হয়ে পড়ছিলেন মুস্তাফিজ। আবার খেলার জগতে ফিরে গেলেন।
আজ বুধবার আবার ঢাকায় ফিরে গেছেন মুস্তাফিজ। ঢাকার উদ্দেশে বিকেল ৩টার দিকে বাড়ি ছেড়েছেন তিনি। যশোর থেকে বিমানে চলে যাবেন ঢাকায়।
মুস্তাফিজের ভাই মোখলেসুর রহমান পল্টু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মাঠে যেতে উদগ্রীব হয়ে আছে মুস্তাফিজ। তাই দ্রুত ফিরে গেছেন ঢাকায়।’
লন্ডনের কেনসিংটনে গত ১১ আগস্ট অস্ত্রোপচার হয়েছিল মুস্তাফিজুর রহমানের। বুপা ক্রমওয়েল হাসপাতালের শল্যবিদ অ্যান্ড্রু ওয়ালেসের অধীনে অস্ত্রোপচারের পর কয়েকদিন লন্ডনেই বিশ্রামে ছিলেন তিনি। অস্ত্রোপচারের ধকল কাটিয়ে ২২ আগস্ট দেশে ফিরেছিলেন এই বাংলাদেশি বাঁহাতি পেসার।
অস্ত্রোপচারের কারণে দীর্ঘ সময়ে মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে মুস্তাফিজকে। ধারণা করা হচ্ছে, কমপক্ষে পাঁচ-ছয় মাস খেলতে পারবেন না তিনি। তাই ঘরের মাঠে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরের দলে নাও থাকতে পারেন তিনি।

সুভাষ চৌধুরী, সাতক্ষীরা