মীর কাসেমের দাফন মানিকগঞ্জে, নিরাপত্তা জোরদার
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর রায় কার্যকরের পর তাঁকে নিজ গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে দাফন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এ কারণে পুলিশ জেলার হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে তাঁর প্রতিষ্ঠিত মসজিদ প্রাঙ্গণসহ আশপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে।
মীর কাসেম আলীর রায় কার্যকরের গুঞ্জনের মধ্যে আজ শনিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুর রহমান জানান, ‘মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের পর লাশ ওই চালা গ্রামে দাফন করা হতে পারে। তবে এই সংক্রান্ত কোনো সরকারি আদেশ এখনো আসেনি। তারপরও ওই এলাকাসহ পুরো জেলায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’
এসপি আরো বলেন, সেখানে দাফনের যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। আদেশ এলে তা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, হরিরামপুর উপজেলার সুতালরি ইউনিয়নের মুন্সীডাঙ্গি গ্রামে বাড়ি ছিল মীর কাসেম আলীর বাবা মৃত তৈয়ব আলীর। অনেক আগেই পদ্মা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ওই গ্রাম। মীর কাসেম আলীর জন্ম ১৯৫২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তাঁর ডাক নাম পিয়ারু ওরফে মিন্টু। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি মেজো। বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলা থেকে চট্টগ্রামে থাকতেন তাঁরা।
প্রায় ১৬ বছর আগে মীর কাসেম আলী হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে প্রায় ৫০ শতাংশ জমি কেনেন। সেখানে প্রতিষ্ঠা করেন মসজিদ। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি মাঝে মাঝে ওই গ্রামে আসতেন। মসজিদে দলীয় লোকজন নিয়ে বসতেন। কিন্তু সেখানে কোনো বাড়িঘর করেননি। এলাকার কয়েকজন জানান, একসময় চারদলীয় জোট থেকে এই আসনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর সেখানে আর আসেননি তিনি।
মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাননি, তাই যে কোনো সময় কার্যকর করা হতে পারে জামায়াতের এই নেতার মৃত্যুদণ্ড। আজ বিকেলে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গেছেন পরিবারের সদস্যরা।
এ ছাড়া রায় কার্যকরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশও কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে। তবে এখন পর্যন্ত রায় কার্যকরের সময় সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য জানায়নি প্রশাসন।