ট্রাকে ট্রাকে আসছে ভারতীয় পেঁয়াজ, বাজারে পড়েনি প্রভাব
অবশেষে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জট খুলেছে। দেশি পেঁয়াজের ঝাঁঝে অস্থির ভোক্তাদের কথা ভেবে সরকার পেঁয়াজ আমদানির এই অনুমতি দেয়।
দীর্ঘ দুই মাস ২০ দিন পর আজ সোমবার (৬ জুন) বিকেল পৌনে ৬টায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ বোঝাই ভারতীয় ট্রাক বন্দরের পানামা পোর্টে প্রবেশ করছে।
এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজের ট্রাক হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করলেও বাজারে না আসায় দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে দাম কমতে পারে।
বন্দরের আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, গেল মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশে আমদানি করা পেঁয়াজের শূন্যতা সৃষ্টি হয়। এর ফলে রোজার ঈদের পর খুচরা ও পাইকারি বাজারে হঠাৎ করেই দাম বেড়ে যায় দেশি পেঁয়াজের। এতে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। দাম বেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয় ৮০-৯০ টাকায়। এ অবস্থায় সামনে কোরবানির ঈদে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখাসহ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির দাবি জানিয়ে আসছিলেন আমদানিকারকরা। ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের কথা বিবেচনায় রেখে আজ দুপুরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ফলে আজ বিকেল পৌনে ৬টা থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
বাংলাহিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মঈনুল হক জানান, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি। আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। তবে আজ সকালে এই পেঁয়াজ ৮৫ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আমদানির কারণে মাত্র ৫ টাকা কমেছে। মঙ্গলবার বা বুধবারে দাম অনেক কমে যাবে।
এদিকে দীর্ঘদিন পর হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজের চালান আসায় আমদানিকারক, পাইকার ও শ্রমিকরা কর্মমুখর হয়ে পড়েছেন।
সরকার দেশের পেঁয়াজ চাষিদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৬ মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি বন্ধ রাখে। এরপর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল।