নদীতে ডুবে ছাত্রীর, ভ্যানের চাকায় বোরকা পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে দাদার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নদীতে ডুবে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী যমজ বোন ফাতেমা হেনা (১১) এবং ভ্যানের চাকায় বোরকা পেঁচিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার ও আজ রোববার (১৮ জুন) এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
মুকসুদপুরের নয়াকান্দি গ্রাম থেকে নদীতে ভাসমান অবস্থায় গতকাল নিখোঁজ হেনার মরদেহ ভাসতে দেখে উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত ফাতেমা হেনা হরিশ্চর গ্রামের আব্দুল হাকিম মোল্লার মেয়ে।
আব্দুল হাকিম মোল্লা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরের মৌচাক এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন এবং ভাঙারির ব্যবসা করেন। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে তিনি সেখানেই থাকেন।
সিন্ডিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির আইসি উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শওকত হোসেন জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের হরিশ্চর গ্রামের আব্দুল হাকিম মোল্লার যমজ মেয়ে হাসনা আক্তার (১১) ও ফতেমা হেনা (১১) হরিশচর গ্রামের বিল রুট ক্যানেলে গোসল করতে নামে। পরে হাসনা নদী থেকে পাড়ে এলেও হেনা নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় রাজৈর উপজেলার খালিয়ার ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরিদলকে খবর দিলে গতকাল তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ চালায়। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। নিখোঁজের এক দিন পর আজ সকালে তার মরদেহ নয়াকান্দী গ্রামে নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আব্দুল হাকিম মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী আলেয়া বেগম গত বুধবার (১৪ জুন) নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁর ছোট ভাই বাকির মোল্লার বিয়ের অনুষ্ঠানে যমজ দুই মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন এবং শুক্রবার (১৬ জুন) চাচার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তাঁরা। গতকাল শনিবার গোসল করতে গিয়ে এক মেয়ে নিখোঁজ হয়।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
অপর দিকে টুঙ্গিপাড়ায় ভ্যানের চাকার সঙ্গে বোরকা পেঁচিয়ে ফাতেমা বেগম (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সাড়ে ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার গাবতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাতেমা বেগম বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার নালুয়া গ্রামের রেজাউল মোল্লার স্ত্রী।
টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল আলম জানিয়েছেন, ফাতেমা বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে ভ্যানযোগে বাবার বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার খলিফা গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের গাবতলা পৌঁছালে ভ্যানের চাকার সঙ্গে বোরকা পেঁচিয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে তিনি গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা ওই নারীকে উদ্ধার করে দ্রুত ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনের কাছে ওই নারীর মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।