ইয়াবা দিয়ে হয়রানি করায় পুলিশসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ৮ আগস্ট
পথচারীর পকেটে মাদক দিয়ে ফাঁসানো ও হয়রানির ঘটনায় পল্লবী থানার সাময়িক বরখাস্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহবুবুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ রোববার (২৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এই তারিখ ধার্য করেন।
এদিন, মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিন আসামির আইনজীবীরা অবিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৮ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করেন। অন্য দুই আসামি হলেন মো. রুবেল ও মো. সোহেল রানা। এই দুজন পুলিশের সোর্স।
নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ।
এজাহারে বলা আছে, গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার একটি রাস্তায় খলিলুর রহমানের পথ রোধ করেন পল্লবী থানার সাদা পোশাকধারী এএসআই মাহবুবুল আলম। একজন সোর্সের কাছ থেকে ইয়াবার প্যাকেট নিয়ে খলিলের পকেটে পুরে দেন তিনি। তারপর উল্টো পথচারীকে মারধর করতে করতে একটি অটোরিকশায় তুলে নেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশকে মাহবুবুল আলম জানান, তারা খলিলুর রহমান নামে একজন চিহ্নিত মাদক কারবারিকে ধরেছেন, যার কাছে ১৩৫ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। কিন্তু আশপাশে থাকা একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ঘটনাটি। সেখানে দেখা যায় পথচারী খলিলুর রহমান নির্দোষ। তাকে হয়রানির জন্য ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন এএসআই মাহবুবুল আলম।
এ সময় এএসআই মাহবুব পথচারী খলিলুর রহমানকে পল্লবী থানায় নিয়ে যান। পল্লবী থানার এসআই কামরুল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা সাজান। ওই মামলায় বলা হয়, খলিলুর রহমানের কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ইয়াবা উদ্ধারের সময় তাঁর সঙ্গে কনস্টেবল কামরুজ্জামান ও আনসার সদস্য ইসমাইল হোসেন ছিলেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন এসআই খালিদ হাসান তন্ময়কে। তদন্ত কর্মকর্তা পরদিন খলিলুর রহমানকে মামলার আসামি হিসেবে আদালতে পাঠান। ৮ সেপ্টেম্বর আদালত খলিলুর রহমানকে জামিন দেন।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এএসআই মাহবুবুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে তাকে আটক করে ক্যান্টনমেন্ট থানায় ১৩৫ পিস ইয়াবার মামলা করা হয়। মামলায় তাঁকে ও তার দুই সোর্সকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।