নির্বাচিত সরকার থাকলে ডেঙ্গুতে এত প্রাণহানি হতো না : ইশরাক হোসেন
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিষয়ক সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র পদপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘আজকে যদি নির্বাচিত সরকার থাকত, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকত, নির্বাচিত মেয়র থাকত, বিশেষ করে কাউন্সিলররা যদি ভূমিকা রাখত, তাহলে ডেঙ্গুতে এত প্রাণহানি ঘটত না।’
আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ শেষে ফকিরাপুল মোড়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইশরাক। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ড্যাবের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমরা সরকারকে কোনো পরামর্শ দিতে চাই না, পরামর্শ একটিই দ্রুত বিদায় হোন, ক্ষমতা ছাড়ুন। জনগণ নিজেই নিজেদের সমস্যা সমাধান করবে।’
ইশরাক আরও বলেন, ‘আজকে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা বিনাভোটে নির্বাচিত হওয়ার কারণে তারা চাঁদাবাজি, ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, বাস ও ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে চাঁদা তোলা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। জনগণের সেবা করার কোনো সময় তাদের নেই। জনগণ মরলো কি বাঁচলো, এ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা মনে করছেন আবারও বিনাভোটে নির্বাচিত হবেন। কিন্তু এবার তা সম্ভব নয়, জনগণ জেগে উঠেছে। এই অবৈধ সরকারের বিদায় ঘটিয়ে গণতন্ত্রকামী সরকার গঠন করবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘২০০১ সালে দেশে প্রথম ডেঙ্গু রোগের আবির্ভাব ঘটলে তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বছরব্যাপী জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছিলেন। আর তখনকার তুলনায় ডেঙ্গু রোগে মৃত্যুর সংখ্যা এখন হাজার গুণ বেড়েছে।’
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘জনগণের ওপর দায়িত্বহীনতা, অবহেলা ও জনদরদ না থাকার কারণে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ভেঙে পড়েছে মশক নিধন কার্যক্রম। এর মূল কারণ হচ্ছে এই সরকার অনির্বাচিত। জনগণের কাছে তাদের জবাব দিতে হয় না।’
বিএনপি নেতা ইশরাক বলেন, ‘নগরবাসী জনপ্রতিনিধির কাছে কোনো সমস্যার কথা বলতে পারে না। তারা রাজার হালে বাস করছেন, আর দেশের বারোটা বেজে যাচ্ছে। আজকে একচ্ছত্রভাবে, একনায়কতান্ত্রিকভাবে দেশ শাসন করে যাচ্ছে। জনগণের কষ্ট ও সমস্যার দিকে এই সরকারের কোনো দৃষ্টি নেই।’
লিফলেট বিতরণকালে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।