এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১১ ফেব্রুয়ারি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় দুদকের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আছাদুজ্জামান আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) এই দিন ধার্য করেন। এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন।
দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত বছরের ৩১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে তিনতলা বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় এসকে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করেন সংস্থাটির উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়।
এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১২ জুন যুক্তরাষ্ট্রে এসকে সিনহার জন্য তিনতলা একটি বাড়ি কেনেন তার ভাই অনন্ত কুমার। যার দাম দুই লাখ ৮০ হাজার ডলার। এই বাড়ি কেনার আগে ৩০ বছরের কিস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে নিজের জন্য এক লাখ ৮০ হাজার ডলার ব্যাংক ঋণ নিয়ে আরও একটি বাড়ি কিনেছিলেন অনন্ত কুমার সিনহা। পেশায় দন্ত্য চিকিৎসক অনন্ত প্রথম বাড়িটি কিস্তিতে কিনলেও নিজের ভাইয়ের জন্য নগদ টাকায় বাড়ি কেনেন।
মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, ২০১৮ সালের ৫ মার্চ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত অনন্ত কুমার সিনহার নিউ জার্সির প্যাটারসনে অবস্থিত ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি হিসাবে ৬০ হাজার ডলার জমা হয়। ওই একই হিসাবে অন্য একটি উৎস থেকে একই বছরের ১১ এপ্রিল থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এক লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৮ ডলার জমা হয়। এস কে সিনহার বাড়ি কেনার বা বিদেশে অর্থপাচারের বৈধ কোনো উৎসের সন্ধান পায়নি সংস্থাটি।
দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্র মনে করে, এস কে সিনহা বিভিন্ন সময়ে ঘুষ হিসেবে যেসব টাকা গ্রহণ করেছেন তা বিদেশে পাচার করেন। দুদক তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনে।
এ ছাড়া সাবেক ফারমার্স ব্যাংক বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মামলায় আলাদাভাবে এস কে সিনহাকে চার বছর এবং সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।