চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী : রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বেইজিং ও ঢাকা পারস্পরিক কৌশলগত আস্থা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ, কর্মী ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান বিকাশ এবং আন্তর্জাতিক ও বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করেছে। তিনি বলেন, চীন ক্রমবর্ধমানভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার হিসাবে স্বীকৃত।
চীনের সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (এসআইআইএস), বাংলাদেশের সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ (সিসিএস) এবং বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ সেন্টার (ডিএসসি) এর যৌথভাবে আয়োজিত ‘চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক : আইডেন্টিফিকেশন অব ফিউচার রিসার্চ এজেন্ডা’ শীর্ষক সেমিনারে আমন্ত্রিত হয়ে রাষ্ট্রদূত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত ওয়েন বলেন, বেইজিং-ঢাকা সম্পর্কের বন্ধনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যৌথ প্রচেষ্টা ও দিকনির্দেশনাকে দুই দেশ স্বাগত জানিয়েছে । তিনি বলেন, ‘চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিস্তৃত পরিসরে প্রসারিত হবে এবং উচ্চ স্তরে উন্নীত হবে এটাই অত্যন্ত আকাঙ্ক্ষিত। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহাসিক সুযোগের মুখোমুখি হওয়ার কথা উল্লেখ করে, রাষ্ট্রদূত চীন ও বাংলাদেশের একাডেমিয়াকে দুই দেশের বিজ্ঞদের জন্য সিসিএসকে একটি একাডেমিক হাব হিসেবে গড়ে তুলতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর যৌথ গবেষণা শুরু করতে এবং আঞ্চলিক হটস্পটগুলোর সমাধানের পরামর্শ দিতে উৎসাহিত করেন।
এসআইআইএস সভাপতি অধ্যাপক শেন ডংজিও, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর লি কাইশেং, উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং চায়না ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর রং ইং, ডিএসসি’র সমন্বয়কারী প্রফেসর রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন এবং জেনেভায় জাতিসংঘ অফিস ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহসানও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্ব, বিশেষ করে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বলেন, বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও চীনের উচিত পারস্পরিক আস্থা আরও বৃদ্ধি করা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা আরও গভীর করা, যাতে দুই দেশের উন্নয়ন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাধারণ স্বার্থ রক্ষা করা যায়। শিক্ষাবিদগণ দুই দেশের জনগণের মধ্যে নিবিড় এবং বিস্তৃত আলাপ-আলোচনা আদান-প্রদানের মাধ্যমে এবং চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতিতে অনন্য অবদান রাখবেন।