বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর দিনব্যাপী অবরোধ শুরু
১০ দিন বিরতির পর আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ফের সারা দেশে দিনব্যাপী সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন শুরু করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। ৩১ অক্টোবরের পর থেকে এটি বিরোধী দলগুলোর দ্বাদশ দফা অবরোধ কর্মসূচি এবং ২০ ডিসেম্বর সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণার পর প্রথম দফা।
আজ রোববার সকাল ৬টায় এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়, যা শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দেশবাসীসহ বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
ওই সময় সংবাদপত্র পরিবহণকারী বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ পরিবহণকারী যানবাহন অবরোধের আওতার বাইরে থাকবে বলেও জানানো হয়।
রহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নতুন করে অবরোধ কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারকে পদত্যাগ করা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল করা এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে চাপ সৃষ্টি করা।’
রিজভী বলেন, ‘অন্যান্য বিরোধী দল যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।’
গতকাল শনিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে রিজভী সেসব বিরোধী দলগুলোর নেতাদের ধন্যবাদ জানান, যারা ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর দেশের জনগণকে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ‘একতরফা’ নির্বাচন বর্জন করার এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনসমর্থন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন স্থানে প্রচার চালিয়েছেন।
এর আগে, বিরোধী দলগুলো সর্বশেষ ১২ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে থেকে সারা দেশে ৩৬ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ করেছিল।
বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাধ্য করতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৩৫টির বেশি বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
গত ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির মহাসমাবেশ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। তবে, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ২৯ অক্টোবর থেকে ১১ দফায় ২২ দিন দেশব্যাপী অবরোধ এবং চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল দেয়। অবশেষে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো গত ২০ ডিসেম্বর অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়।