মিয়ানমারের শতাধিক বিজিপি বান্দরবান থেকে টেকনাফে স্থানান্তর
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়ে উঠেছে। তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মিয়ানমারের ১০০ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যকে প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনায় টেকনাফের হ্নীলাতে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।
অপরদিকে সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়ে ওঠায় উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া ঘুমধুম-তুমব্রু, জলপাইতলী সীমান্তের ২৪৩ জন বাসিন্দারা সকলে ঘরে ফিরে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে কোনো গোলাগুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, বুধবার দুপুরের পর থেকে আজকে সকাল পর্যন্ত কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। পরিস্থিতি শান্ত হয়ে ওঠায় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজন ঘরে ফিরে গেছে। এদিকে ভয়ে আতঙ্কে দূরদূরান্তে আত্মীয় স্বজনের বাসাবাড়িতে চলে যাওয়া লোকজনও ফিরতে শুরু করেছে। সীমান্তবর্তী তুমব্রু বাজারে দোকানপাট খুলেছে ব্যবসায়ীরা। লোকজনের আনাগোনাও বেড়েছে।
অপরদিকে বাইশফাঁড়ি সীমান্তপথে অবৈধ অনুপ্রেবেশকারী ৫ সদস্যের উপজাতি একটি পরিবারকে পুশব্যাক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। বিষয়টি জানিয়েছেন স্থানীয় সীমান্তবাসীরা। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি এখনো স্বীকার করা হয়নি।
গত শনিবার থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সাথে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলে আসছিল। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের তিনটি ক্যাম্প দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মী। সংঘাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের ৩২৭ জন সেনা-সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের সদস্য।