বেইলি রোডের আগুনের সূত্রপাত কীভাবে, জানালেন র্যাবের ডিজি
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, ‘রাজধানীর বেইলি রোডের সাততলা ভবনের নিচতলার ছোট একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। অনেকগুলো সিলিন্ডার থাকায় সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে ভবনে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে যায়।’
আজ শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন দগ্ধদের দেখতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে র্যাবের ডিজি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘ওখানে (বহুতল ভবন) ফায়ার সার্ভিসের যিনি উপপরিচালক আছেন, তার সঙ্গে কথা বলেছি। আমি নিজেও দেখে আসলাম। (অগ্নিকাণ্ড) শুরু হয়েছিল নিচতলার ছোট একটি দোকানে থাকা সিলিন্ডার থেকে, তিনি আমাকে এটা বললেন। প্রাথমিকভাবে এক্সটিংগুইশার (অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র) দিয়ে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। কিন্তু দোকানে অনেকগুলো সিলিন্ডার ছিল, সেগুলো বিস্ফোরিত হওয়ায় আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে যায়। যারা মারা গেছেন, তাদের বেশির ভাগই ধোঁয়ার কারণে দম বন্ধ হয়ে (সাফোকেশন) মারা গেছেন।’
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘সাততলা ভবনে ওঠার জন্য একটা মাত্র সিঁড়ি ছিল। দুটি লিফট ছিল। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় লিফট বন্ধ হয়ে যায়। (প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে) কথা বলে যেটা বুঝতে পেরেছি, যখন মানুষ নিচে নামতে গেছে, তখন ভেবেছে নিচে আগুন লেগেছে, যখন ওপরে আছে তখন ভেবেছে, ওপরে আগুন লেগেছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছে অন্তত ২২ জন। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে উদ্ধারকাজে সহায়তা করেছে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য, এনএসআই, বিজিবি ও র্যাব।