রাজধানীর পশ্চিম মানিকদি নামাপাড়া এলাকার একটি ভবনের পঞ্চমতলা থেকে রোকেয়া বেগম (৫৫) নামে এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে রোকেয়া খুন হয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।

আজ রোববার (২৪ মার্চ) ভোরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জমসেদুল আলম।

নিহত রোকেয়া বেগমের স্বামীর নাম এস এম মোহাম্মদ আলী। তিনি নরসিংদী ঘোড়াশাল পাওয়ার হাউজের চাকরি করেন। পশ্চিম মানিকদি নামাপাড়ার একটি বাড়ির পঞ্চমতলার একটি ফ্ল্যাট সপরিবারে থাকতেন রোকেয়া।

এসআই জমসেদুল বলেন, ‘শনিবার দিনগত রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে নামাপাড়ার ওই বাড়ির পঞ্চমতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে রোকেয়া বেগমের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী দুই সন্তানের মা। তার বড় সন্তান মানসিক ভারসাম্যহীন, বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। আমরা ধারণা করছি, মানসিক ভারসাম্যহীন বড় ছেলে বাসায় থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।’

জমসেদুল আলম আরও বলেন, ‘নিহতের সেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে পুলিশ হেফাজতে আছে। ঘটনার সময় তার ছোট ছেলে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিল।’

বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান জমসেদুল আলম।